প্রতিদিনের ডেস্ক
ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপে সোমবার রাতে প্যারিস সেইন্ট জার্মেইকে (পিএসজি) বিধ্বস্ত করে শিরোপা জিতেছে চেলসি। ফরাসি লিগ ওয়ানের ক্লাব ফাইনালে ৩-০ গোলে হারিয়েছে ব্লুজরা। আন্ডারডগ হিসেবে ক্লাব বিশ্বকাপে খেলতে আসা চেলসির শিরোপা জয় ভক্তদের কাছে অবিশ্বাস্যই মনে হয়েছে। কাগজে-কলমে ইউরোপীয় চ্যাম্পিয়ন পিএসজিই ছিল এগিয়ে। কিন্তু লুইস এনরিকের সাজানো গোছানো ও দুর্দান্ত ফর্মে থাকা দলকে হারাতে পেরে আনন্দে মাতোয়ারা হন চেলসির ফুটবলার ও সমর্থকরা। যে কারণে সোনালী ট্রফি হাতে গ্রান্ড সেলিব্রেশন করতে চেয়েছিলেন ব্লুজরা। কিন্তু উদযাপন মঞ্চে উঠে দারুণ অস্বস্তিতে পড়েন কোল পালমার-রিসি জেমসরা। ট্রফি হাতে রিস জেমস যখন উল্লাসে মেতে ছিলেন, ঠিক তার পেছনে লাফাচ্ছিলেন পালমার। জেমসের পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি চেলসির গোলরক্ষক রবার্ট সানচেজ এবং মিডফিল্ডার পালমারের মাঝে অবস্থান করছিলেন। ট্রাম্পকে মঞ্চে দেখে দ্বিধাদ্বন্দ্বে পড়ে যান পালমার। পিএসজির জালে দুই গোল দেওয়া এই ইংলিশ অ্যাটাকিং মিডফিল্ডারের মনে প্রশ্ন, কেন এখনো মঞ্চে দাঁড়িয়ে আছেন ট্রাম্প? পালমার চেয়েছিলেন, ট্রাম্প মঞ্চ থেকে নেমে গেলে তারপর উদযাপন শুরু করবেন। যে কারণে জেমসকে অপেক্ষা করতে বলেন, যতক্ষণ না ট্রাম্প মঞ্চ থেকে নেমে যান। পরে ট্রাম্পকে নিয়ে পালমার বলেন, ‘আমি জানতাম উনি (ট্রাম্প) এখানে থাকবেন, কিন্তু ট্রফি তোলার সময় মঞ্চে থাকবেন সেটা জানতাম না, তাই একটু বিভ্রান্ত হয়েছিলাম।’ চেলসির প্রথম দুটি গোল করে ম্যাচের সেরা খেলোয়াড় এবং পুরো টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড় হিসেবে গোল্ডেন বল অর্জন করেন পালমার। চেলসি অধিনায়ক রিসি জেমসকে শিরোপা দেওয়ার পরপরই ফিফা সভাপতি জিয়ান্নি ইনফান্তিনো ট্রাম্পকে একটি পদক দেন, যা দেখে অনেকেই বিস্মিত হন। পেনাল্টি এরিয়ার ঠিক ভেতর থেকে বাঁ পায়ের দুটি প্রায় একই ধরনের শটে ম্যাচের ২২ এবং ৩০ মিনিটে গোল করেন পামার। চেলসির বাকি গোলটি করেন ব্রাজিলিয়ান তরুণ হুয়াও পেদ্রো।শিরোপা জয়ের অনুভূতি নিয়ে পালমার বলেন, ‘এটা অসাধারণ এক অনুভূতি। এর চেয়েও ভালো লাগছে কারণ সবাই আমাদের নিয়ে সন্দেহ করেছিল ম্যাচের আগে। কোচ দারুণ একটি পরিকল্পনা দিয়েছিলেন এবং তিনি জানতেন ঠিক কোথায় ফাঁকা (গোল করার সুযোগ) জায়গা থাকবে।’

