সিবগাতুর রহমান
ওই নীল আকাশ ছোঁয়ার স্বপ্নে
বসতো সবাই পাঠে,
স্বপ্নগুলো যে ছাই হয়ে গেলো
বিদ্যালয়েরই মাঠে।
আসমান থেকে আছড়ে পড়লো
যুদ্ধবিমান একখানা,
ঝলসে দিলো কত সোনামুখ
মায়ের লক্ষ্মী সোনা।
কোথায় ওরে সোনা জাদুমণি
আয় রে ছুটে আয়,
তোর তালাশে দেখ আমাদের
যায় রে পরান যায়।
যাওয়ার সময় যার মুখে তুই
দিয়েছিলি চুমু আঁকি,
শূন্য বুকটা চাপড়ে মা তোর
করছে ডাকাডাকি।
রাস্তার ধারে পাগলিনী বেশে
বসে আছেন জননী,
মূর্ছা যাচ্ছেন বার বার তোর
হতভাগা মা দুঃখিনী।
সেই যে ভোরে দূর থেকে তুই
‘হাই’ বলে গেলি চলে,
দাদুভাই তোর খায়নি এখনো
একসাথে খাবে বলে।
অপলক তোর পথপানে চেয়ে
ফিরছে না যে ঘরে,
নির্বাক এখনো দাদিজান তোর
যাবেই বুঝি মরে।
আদরের ছোট বোনটিও দেখ
কাঁদছে থরে থরে,
কে হবে তার খেলার সাথী
না ফিরিস যদি ঘরে।
এত পোড়া দেহ বিকৃত মুখ
যাচ্ছে না দেখে চেনা,
সেখানে কি রেখেছিস ওরে
তোর সোনা দেহখানা?
আকাশে ওড়ার স্বপ্ন দেখতি
তুই রোজ দিবানিশি,
ছাই হয়ে তাই উড়ে গেলি বুঝি
আকাশটা ভালোবাসি।
তোরে নিয়ে কত সুখের স্বপ্নে
সাজিয়েছি এই বুক,
স্বপ্নগুলো ধোঁয়া হয়ে আজি
ভেঙেছে সকল সুখ।
কোথাও তোর মিলছে না খোঁজ
আয় খোকা ফিরে আয়,
নয়নের জলে ভাসছে সকলে
কাঁদে সব অসহায়।

