প্রতিদিনের ডেস্ক
একাকিত্বে ভোগার অভিজ্ঞতা রয়েছে প্রিয়াংকা চোপড়ার। বলিউডে সেরার সেরা হয়ে হলিউডে গিয়ে পাকাপাকি জায়গা তৈরি করেছেন অভিনেত্রী। অসংখ্য অনুরাগী রয়েছে তার। কিন্তু একটা সময়ে তিনিও একাকিত্বে ভুগেছেন। কথা বলার মতো কেউ ছিল না পাশে। জাঁকজমক ও ঔজ্জ্বল্যের আড়ালে ঢাকা পড়ে গিয়েছিল তার একাকিত্ব। সে সময় প্রিয়াংকার বাবা অশোক চোপড়ার যকৃৎ ক্যান্সারের চিকিৎসা চলছিল। অভিনেত্রী বলেন, বলিউডে আমার তখন পরিচিত মানুষের সংখ্যা লাখ লাখ। কিন্তু তাদের মধ্যে একটিও বন্ধু ছিল না। এমন কেউ ছিল না, যাকে মধ্যরাতে ফোন করা যায় এবং যার কাছে নিজের মন খুলে কথা বলা যায়। সেই সময়ে প্রিয়াংকার ঝুলিতে পর পর সফল ছবি ছিল। অভিষেক বচ্চনের সঙ্গে তার ‘ব্লাফমাস্টার’ ছবি প্রশংসিত হয়েছিল। শাহরুখ খান, অক্ষয় কুমার ও হৃতিক রোশনের সঙ্গে পর পর ছবি করেছেন। কিন্তু এত খ্যাতি সত্ত্বেও সেই সময়ে বিনোদন জগতে ভালো বন্ধু তৈরি করতে পারেননি তিনি। তবে, প্রিয়াংকার মধ্যে যে এগিয়ে যাওয়ার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে- তা অনেকেই টের পেয়েছিলেন। প্রযোজক সুনীল দর্শন বলেছিলেন, আমার অফিসে এসেছিল ও। ১৫ মিনিট ওকে দেখে বুঝে যাই, আমি আরও একটা রেখাকে খুঁজে পেয়েছি। তখন বিশ্বে পরিচিতি পাওয়ার বিষয়টা হয়তো ওর লক্ষ্য ছিল না। তবে ও জানতো, হিন্দি ছবিতে ও বড় তারকা হয়ে উঠবে।

