মঈন উদ্দিন খান, কোটচাঁদপুর
অভাবি সংসারে স্বচ্ছতা আনতে স্বামীর পরামর্শে বিভিন্ন এনজিও থেকে ১৪ লক্ষ টাকা ঋণ নিয়ে স্বামী নজরুল ইসলামকে বিদেশ (সৌদি আরব) পাঠান স্ত্রী মিতু খাতুন। তিনি ঝিনাইদহ জেলার কোটচাঁদপুর উপজেলার রাজাপুর গ্রামের খলিলুর রহমানের মেয়ে। ৭ বছর আগে বিয়ে হয় উপজেলার দুতিয়ারকুঠি বারুইপাড়া গ্রামের নজরুল ইসলামের সাথে । স্ত্রীর ঋণের টাকায় বিদেশ যান নজরুল ইসলাম। স্বামী বিদেশ যাওয়ার পর ভাসুরের কু-নজর পড়ে মিতুর উপর, তার দাবী না মানায় ঘরছাড়া করার হুমকি দেন ভাসুর আজমিরুল। বাড়তে থাকে ভাসুরের ও শ্বাশুরির নির্যাতন। নির্যাতন শয়তে না পেরে দুই বার আত্মহত্যার চেষ্টাও করেছেন মিতু খাতুন। ভাই ও মায়ের পরামর্শে মিথ্যা পরকিয়ার অভিযোগ তুলে বিদেশ থেকেই তালাক নামা পাঠিছেন স্বামী নজরুল ইসলাম। এ খবরে মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পড়ে মিতু খাতুনের । একদিকে শিশু সন্তান অন্য দিকে ঋণের মামলা নিয়ে উভয় সংকটে পরেছেন বলে জানান মিতু খাতুন। স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের কাছে নালিশ দিয়ে হয়নি কোন প্রতিকার সে কারণে প্রতিকার চেয়ে স্বামী নজরুল ইসলাম, ভাসুর আজমিরুল ইসলাম ও শ্বাশুড়ি খায়রুন নেছার বিরুদ্ধে কোটচাঁদপুর মডেল থানায় অভিযোগ করেছেন তিনি। অভিযোগের সুত্র ধরে জানা যায় উপজেলার দুতিয়ারকুঠি বারুইপাড়া গ্রামের বাসিন্দা নজরুল ইসলামের সাথে ৭ বছর আগে পারিবারিক ভাবে বিয়ে হয় মিতু খাতুনের। তাদের ১টি পুত্র সন্তান আছে, স্বামীকে বিদেশ পাঠাতে স্ত্রী মিতু খাতুন কে দিয়ে বিভিন্ন এনজিও থেকে ১৪ লক্ষ টাকা ঋণ করিয়েছেন স্বামী ও তার পরিবারের সদস্যরা। স্বামী বিদেশ যাওয়ার ২ বছর পর কিস্তির টাকা পরিশোধ না করেই স্ত্রী মিতুকে বিদেশ থেকেই তালাক দিয়েছেন স্বামী। এঘটনার সাথে জড়িত আছেন ভাসুর আজমিরুল ইসলাম ও শ্বাশুরি খায়রুন নেছা। তালাকের পর কিস্তির টাকা বন্ধ করে দেন স্বামী নজরুল ইসলাম, যে কারণে তিনি আর ঋণের কিস্তি দিতে পারেননি। ঋণের টাকা বন্ধ করার কারণে বিভিন্ন ঋণ গ্রহণকারী সংস্থা থেকে তার নামে ঋণ খেলাপীর মামলা করেন। যা নিয়ে তিনি খুবই বিপদে আছেন বলে জানান। গত ০১ মাস পূর্বে ১নং বিবাদী স্বামী নজরুল ইসলাম বাড়িতে আসেন কিন্তু আমার এবং আমার সন্তানের কোন প্রকার খোঁজ-খবর নেয়নি। একদিকে ঋণের মামলা অন্য দিকে ছোট শিশু বাচ্চার কথা চিন্তা করে উপায়ান্ত না পেয়ে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের সাথে যোগাযোগ করে সংসারে ফিরে যাওয়ার ইচ্ছা পোষন করি। স্বামী নজরুল ও প্রতিশ্রুতি দেন সংসার করবেন, কিন্তু ২ ও ৩ নং বিবাদীর প্রচোরনায় ১নং বিবাদী আমাকে মেনে নিতে রাজি হয়নি। আমি ছেলে ও স্বামী নিয়ে সংসার করতে চাই এবং কিস্তির টাকা যেন স্বামী পরিশোধ করেন যে ব্যবস্থা করতে তিনি সংশ্লিষ্টদের সহযোগীতা কামনা করেন। এবিষয়ে কথা বলা হয় অভিযুক্ত আজমিরুল ইসলামের সাথে তিনি জানান প্রথমে তারা স্বামী স্ত্রী মিলে টাকা তুলে ভাই নজরুল বিদেশ যায়। পরে বিদেশে আবার টাকার দরকার হলে তখন আমি জামিনদার হয়ে মিতুর দিয়ে টাকা তুলে দিই। আর মিতুর সাথে কোন খারাপ ব্যবহার করেননি বলে তিনি জানান। নজরুল ইসলাম বলেন আমি সৌদি যাওয়ার সময় স্ত্রীর দিয়ে টাকা উঠিয়ে ছিলাম,বিদেশ যেয়ে আমি টাকা পাঠালে কিছু কিছু ঋণ সে পরিশোধও করেছে, তবে পরে টাকা উঠানোর ব্যাপারে আমি কিছু জানিনা। অভিযোগের বিষয়ে কথা বলা হয় কোটচাঁদপুর মডেল থানার অফির্সাস ইনর্চাজ কবীর হোসেন মতুব্বরের সাথে তিনি জানান দুজনকেই আমরা একসাথে সংসার করার জন্য পরামর্শ দিয়েছি, বিবাদী পক্ষ প্রতিশ্রুতি দেন তারা একসাথে সংসার করবেন। কিন্তু পরে আর স্বামী পক্ষ স্ত্রীর সাথে যোগাযোগ করেননি বলে শুনেছি।

