প্রতিদিনের ডেস্ক
গ্রেপ্তার সুমাইয়া জাফরিন। কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ ক্যাডারদের ‘গেরিলা প্রশিক্ষণ’ দেওয়ার ঘটনায় সম্পৃক্ততার অভিযোগে আলোচিত মেজর সাদিকুল হকের স্ত্রী সুমাইয়া জাফরিনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। ভাটারা থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে সুমাইয়াকে আটক দেখিয়েছে পুলিশ। আজ দুপুরে রিমান্ডের আবেদন করে তাকে আদালতে সোপর্দ করা হবে। গোয়েন্দা-গুলশান বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মোহাম্মদ কামরুল হাসান এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এর আগে বুধবার রাতে ডিএমপির গণমাধ্যম ও জনসংযোগ শাখার উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান সুমাইয়া জাফরিনকে আটকের তথ্য জানান। সুমাইয়া জাফরিন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার ঘটনায় সেনা হেফাজতে থাকা মেজর সাদিকুল হক ওরফে মেজর সাদিকের স্ত্রী। আওয়ামী ক্যাডারদের প্রশিক্ষণের ঘটনায় সুমাইয়া জাফরিনও জড়িত ছিলেন বলে জানা যায়। প্রথম দিকে সুমাইয়াকে পুলিশের সহকারী সুপার (এএসপি) বলা হলেও পরে পুলিশ সদর দপ্তর থেকে জানানো হয়, এই নামে কোনো নারী কর্মকর্তা সেই বাহিনীতে নেই। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের প্রধান ভারতে পালিয়ে যাওয়া শেখ হাসিনাকে ফিরিয়ে আনতে দলটির বাছাইকৃত ক্যাডারদের এই প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। রাজধানীর মিরপুর, ভাটারা, কাটাবন ও পূর্বাচল এলাকায় দেওয়া হয় এসব প্রশিক্ষণ। এর মধ্যে গত ৮ জুলাই ভাটারা থানা এলাকার একটি কনভেনশন সেন্টারে সকাল থেকে আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গ সংগঠনের প্রায় ৪০০ নেতাকর্মীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। প্রশিক্ষণ গ্রহণকারীদের দুই দিন আগেই একটি টোকেন সরবরাহ করা হয়। আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের এসব ক্যাডারদের প্রশিক্ষণের দায়িত্ব পালন করেন মেজর সাদিকুল হক ওরফে মেজর সাদিক। তাকে গত ১৭ জুলাই নিজ বাসস্থান রাজধানীর উত্তরা এলাকা থেকে আটক করে হেফাজতে নিয়েছে সেনাবাহিনী। সেনাবাহিনীর তরফ থেকে জানানো হয়েছে, সাদেকুল হক সাদেক নামের ওই মেজর বর্তমানে তাদের হেফাজতে রয়েছেন এবং এ বিষয়ে তদন্ত চলমান আছে। তদন্তে তিনি দোষী প্রমাণিত হলে সেনাবাহিনীর প্রচলিত নিয়মে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ইতিমধ্যে কার্যক্রম নিষিদ্ধ থাকা আওয়ামী লীগ, নিষিদ্ধ ছাত্রলীগসহ অন্যান্য সহযোগী সংগঠনের বেশ কয়েকজন নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এদের মধ্যে গত ১২ জুলাই উত্তরা পশ্চিম থানা এলাকার একটি বাসা থেকে যুবলীগ নেতা সোহেল রানাকে গ্রেপ্তার করে ভাটারা থানা পুলিশ। ওই দিন একই এলাকার একটি বাসা থেকে আওয়ামী লীগের নেত্রী শামীমা নাসরিনকে (শম্পা) গ্রেপ্তার করা হয়। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর একটি সূত্র জানায়, সোহেল রানা ও শম্পাকে মুখোমুখি জিজ্ঞাসাবাদ করে তথ্য যাচাই করা হয়। তাদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ওই বৈঠকে অংশ নেওয়া মেজর সাদিকুল হক ওরফে মেজর সাদিককে হেফাজতে নেওয়া হয়। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মেজর সাদিকুল হক ওরফে মেজর সাদিক কক্সবাজারের রামু ক্যান্টনমেন্টে কর্মরত। গোয়েন্দা সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, মেজর সাদিকের সহযোগী হিসেবে কাজ করেছেন তার স্ত্রী।

