১৯শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ  । ৪ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ 

রাহুল গান্ধীকে ছেড়ে দিল দিল্লি পুলিশ

প্রতিদিনের ডেস্ক
১১ আগস্ট সকালে দিল্লির রাজনৈতিক আবহাওয়া যেন হঠাৎই উথাল-পাথাল। সংসদ ভবনের মকর দ্বার থেকে শুরু হয় ইন্ডিয়া জোটের সাংসদদের ঐক্যবদ্ধ মিছিল, গন্তব্য জাতীয় নির্বাচন কমিশনের দপ্তর। উদ্দেশ্য—বিশেষ নিবিড় সংশোধন (SIR) প্রক্রিয়ার বিরুদ্ধে সরব হওয়া, যা বিরোধীদের দাবি অনুযায়ী বিহারসহ কয়েকটি রাজ্যে ভোটার তালিকা থেকে নাম বাদ দেওয়ার হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। প্রথম সারিতে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী, প্রিয়াঙ্কা গান্ধী, সঞ্জয় রাউত, শশী থারুরসহ ৩০-এর বেশি সাংসদ। গন্তব্যে পৌঁছনোর আগেই দিল্লি পুলিশ সংসদ ভবনের কাছেই ব্যারিকেড তুলে মিছিল থামানোর চেষ্টা করে। তৃণমূলের মহুয়া মৈত্র হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন, সহকর্মীরা তাকে সামলে নেন। সমাজবাদী পার্টির অখিলেশ যাদব ব্যারিকেড টপকে এগিয়ে যান—সেই মুহূর্ত সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায়। কিন্তু পুলিশি বাধা সেখানেই থেমে থাকেনি। রাহুল, প্রিয়াঙ্কাসহ ৩০-এর বেশি সাংসদকে গ্রেফতার করে পার্লামেন্ট স্ট্রিট থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। খবর ছড়াতেই রাজনৈতিক অঙ্গনে তীব্র প্রতিক্রিয়া। দুপুর নাগাদ অবশ্য সবাইকে মুক্তি দেওয়া হয়। সংসদে ফিরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন রাহুল গান্ধী। গলায় ক্ষোভ ও চ্যালেঞ্জের সুর—ভারতের গণতন্ত্রের অবস্থা দেখুন—৩০০ সাংসদ নির্বাচন কমিশনে নথি জমা দিতে চেয়েছিল, কিন্তু ভয় পেয়ে আমাদের আটক করা হয়েছে। এটা আর রাজনৈতিক লড়াই নয়, এটা সংবিধানের লড়াই। তিনি ‘ওয়ান ম্যান, ওয়ান ভোট’-এর মৌলিক নীতি তুলে ধরে বলেন, “সত্য বলার জন্য শপথপত্র লাগে না”—ইঙ্গিত স্পষ্ট, নির্বাচন কমিশনের দাবিকৃত শপথপত্রে সই করবেন না।

আরো দেখুন

Advertisment

জনপ্রিয়