১১ই আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ  । ২৬শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ 

কুষ্টিয়ায় পদ্মার পানি কমলেও দুর্ভোগে হাজারো মানুষ

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি
কুষ্টিয়ায় পদ্মা নদীর পানি কমতে শুরু করেছে। গত দুইদিন ধরে এ নদীর পানি কমা অব্যাহত রয়েছে। এরপরও এই জেলার দৌলতপুর উপজেলার দুইটি ইউনিয়নের অর্ধলক্ষ মানুষ পানিবন্দি অবস্থায় আছেন। তলিয়ে গেছে ফসলি জমি। শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার স্বার্থে প্লাবিত অঞ্চলের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হয়েছে।
রবিবার (১৯ আগস্ট) পানি উন্নয়ন বোর্ড কুষ্টিয়ার নির্বাহী প্রকৌশলী রশিদুর রহমানের দেওয়া তথ্য থেকে জানা গেছে, বর্তনামে পদ্মার পানি বিপৎসীমা অতিক্রমের সম্ভাবনা নেই। প্লাবিত হওয়া রাজশাহী জেলার নিম্নাঞ্চলের পানি নেমে যেতে শুরু করায় পরিস্থিতি অপরিবর্তনীয় থাকবে। গত দুইদিন ধরে পানি কমতে শুরু করেছে। শনিবার (১৬ আগস্ট) সকালে কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলার হার্ডিব্রিজ পয়েন্টে পদ্মার পানি পরিমাপ করা হয় ১২ দশমিক ৯৩ সেন্টিমিটার। রবিবার (১৭ আগস্ট) সকালে কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলার হার্ডিব্রিজ পয়েন্টে পদ্মার পানি পরিমাপ করা হয় ১২ দশমিক ৮৩ সেন্টিমিটার। গত ২৪ ঘন্টায় শূন্য দশমিক ১০ সেন্টিমিটার পানি কমেছে পদ্মায়। পদ্মার শাখা গড়াই নদীতে শনিবার পানি ছিল ১১ দশমিক ৩২ সেন্টিমিটারে। তা রবিবার কমেছে ১০ সেন্টিমিটার বলে জানায় পানি উন্নয়ন বোর্ড। এলাকাবাসী জানান, চিলমারী ও রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নের অধিকাংশ রাস্তা পানিতে তলিয়ে গেছে। ফলে পানিবন্দি অবস্থায় আছেন প্রায় অর্ধলক্ষ মানুষ। নতুন করে যদি পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকে তাহলে দুই-একদিনের মধ্যেই এসব এলাকার বাড়িঘরে পানি প্রবেশ করার আশঙ্কা রয়েছে। এই দুই ইউনিয়নের চরাঞ্চলের ৫০০ হেক্টর জমির মরিচ, সবজি, কলা, ভুট্টা, ধান ও পাটসহ বিভিন্ন ধরনের ফসলের ক্ষেত তলিয়ে যাওয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন কৃষকরা। চিলমারী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান প্রকৌশলী আব্দুল মান্নান বলেন, ‍“রাস্তায় পানি উঠায় এই ইউনিয়ন মূল ভূখণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।” রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান সিরাজ মন্ডল জানান, তার ইউনিয়নের নদীর ওপারের অন্তত ৩০ হাজার মানুষের বসবাস, যাদের অধিকাংশই পানিবন্দি। মাঠের আবাদি ফসল বিশেষ করে মরিচ, সবজি, পাট ও ধান ক্ষেত ডুবে গেছে। দৌলতপুর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মুশতাক আহম্মেদ বলেন, “বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শন করে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার জন্য চিলমারী ও রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নের ২১টি বিদ্যালয়ের পাঠদান বন্ধ রাখা হয়েছে। বিদ্যালয়গুলো খোলা থাকবে যাতে বন্যাকবলিত মানুষ সেখানে আশ্রয় নিতে পারেন।” দৌলতপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. নুরুল ইসলাম জানান, চরাঞ্চলের ৫০০ হেক্টর জমির মরিচ, রোপা আউশ, কলা, বিভিন্ন ধরনের সবজি ও ভুট্টা বন্যার পানিতে নষ্ট হয়েছে। নিচু এলাকার কিছু বাড়িতেও পানি প্রবেশ করেছে।

আরো দেখুন

Advertisment

জনপ্রিয়