নিজস্ব প্রতিবেদক
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক নার্গিস বেগম বলেছেন, যারা হুংকার দিয়ে বলছে নির্ধারিত সময়ে নির্বাচন হবে না, তারা আসলে জনগণের সাথে কোনো সম্পৃক্ততা রাখে না। জনগণের জন্য কিছু করার যোগ্যতা না থাকায় তারা এ ধরনের বক্তব্য দিচ্ছে। তিনি দৃঢ় কণ্ঠে বলেন, তারা যতই হুংকার দিক না কেন, দেশের জনগণ অত্যন্ত সচেতন। জনগণের দাবির প্রেক্ষিতেই সরকার ঘোষিত নির্ধারিত সময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সোমবার (১৮ আগস্ট) দুপুরে যশোর শহরের নীলগঞ্জ সাহাপাড়ায় যশোর নগর মহিলা দলের ১ নম্বর ওয়ার্ড শাখা আয়োজিত নারী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। অধ্যাপক নার্গিস বেগম আরও বলেন, ভোট ছাড়া যেমন সরকার গঠন হয় না, তেমনি জনগণের মতামতের প্রতিফলনও ঘটে না। এজন্য সুষ্ঠু নির্বাচনের বিকল্প নেই। তিনি অভিযোগ করে বলেন, জনগণ যাতে কথা বলতে না পারে, সেই উদ্দেশ্যে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা গায়ের জোরে বন্দুকের নল ঠেকিয়ে দেশকে অন্ধকার কূপে বন্দি করে রেখেছিল। অবৈধ ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে সর্বনিম্ন স্তরে নেমে গিয়েছিল, যা কল্পনাতীত। তিনি স্মরণ করিয়ে দেন, বিগত ১৬ বছর ধরে বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের নেতৃত্বে আন্দোলন চালিয়ে এসেছে। এই আন্দোলনে নারীরাও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। নারীর ক্ষমতায়ন প্রসঙ্গে নার্গিস বেগম বলেন, বিএনপিই প্রথম রাষ্ট্রীয়ভাবে নারীদের সুযোগ-সুবিধা ও সুরক্ষা নিশ্চিত করেছিল। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান নিরাপদ কর্মসংস্থানের পথ সুগম করেছিলেন। পরবর্তীতে বেগম খালেদা জিয়া তা আরও সম্প্রসারিত করেন এবং প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে নারীদের জন্য ৫০ শতাংশ কোটা সংরক্ষণ করেছিলেন। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন, জনগণের ভোটে তারেক রহমান ক্ষমতায় এলে নারীদের উন্নয়নে আরও কার্যকর ভূমিকা রাখবেন। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন নারী নেত্রী ডা. সানজিদা সোনিয়া। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন খোকন, নগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এহসানুল হক সেতু, জেলা মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা ফেরদৌসী বেগম, নগর মহিলা দলের সভাপতি শামসুন্নাহার পান্না, নগর বিএনপির ১ নম্বর ওয়ার্ড শাখার সভাপতি মাসুদুল বারী কাক্কু প্রমুখ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন মহিলা দল নেত্রী তরজিনা বেগম ও শিউলি খাতুন।

