কুষ্টিয়া প্রতিনিধি
কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে মানসিক ভারসাম্যহীন নারী জাইমা খাতুনকে (৩৫) হত্যার ঘটনায় তার ভাই আসানুল খাঁ অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা করেছিলেন। এ ঘটনায় সন্দেহভাজন তিনজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদের পর মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) দুজনকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
এর আগে সোমবার (২৫ আগস্ট) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার ফিলিপনগর ইউনিয়নের চরসাদিপুর এলাকার একটি মাঠে ঘাসের জমি থেকে মুখ বাঁধা ও পায়ে আঘাতের চিহ্নসহ জাইমা খাতুনের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।জাইমা চরসাদিপুর গ্রামের মৃত আফাজ খাঁর মেয়ে। তিনি মানসিক ভারসাম্যহীন ও স্বামী পরিত্যক্তা ছিলেন বলে পরিবার ও স্থানীয়রা জানিয়েছেন। গ্রেপ্তারকৃত দুইজন হলেন- চরসাদিপুর গ্রামের মৃত আইজউদ্দিনের ছেলে সেন্টু আলী (৫৫) ও আনারুল ইসলাম (৪৬)। তারা ওই এলাকার ধইঞ্চা জমির মালিক। পুলিশ জানিয়েছে, জাইমা তার ছাগলের জন্য নিয়মিত মাঠ থেকে ধইঞ্চার পাতা কাটতেন। এ নিয়ে ধইঞ্চা চাষিরা তার ওপর ক্ষিপ্ত ছিলেন। নিষেধ করার পরও পাতা কাটতে থাকায় ক্ষোভ থেকে কেউ তাকে হত্যা করেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ বিষয়ে দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোলাইমান শেখ বলেন, “সোমবার রাতে নিহতের ভাই অজ্ঞাতদের আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন। আটক তিনজনের মধ্যে দুজনকে মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।”

