আনিছুর রহমান, বেনাপোল
ভারতের উজানের পানি ও পাহাড়ী ঢলের পানি এসে সীমান্তের বাহাদুরপুর ইউনিয়ন এর ঘিবা,সরবাংহুদা গ্রামের বাড়ি ঘর পানির নিচে নিমজ্জিত। সরকারী প্রাইমারি স্কুল সহ প্রায় দেড় শতাধিক কাঁচা পাকা ঘর বাড়িতে পানি উঠে পানি বন্দী হয়ে পড়েছে ওই সব বাড়ির মানুষ। এছাড়া ওই ইউনিয়নের ধান্যখোলা বোয়ালিয়া গ্রামে ও পানি ধেয়ে আসছে। যদি দুই একদিন টানা বর্ষন হয় তবে কয়েকটি গ্রামের ঘরবাড়ি পানির নীচে তলিয়ে যাবে বলে আশঙ্কা করছে এখানকার বাসিন্দারা। বুধবার (২৭ আগষ্ট) ওই ইউনিয়ন এর কয়েকটি গ্রাম পরিদর্শন করে পানির প্রভাব দেখা গেছে। সর্বাংহুদা গ্রামের ওয়ার্ড বিএনপির সহ সভাপতি মোঃ জিয়াউর রহমান জানান, ভারী বর্ষা ও ভারতীয় পানি আসার কারণে বন্যা সৃষ্টি হয়েছে,তবে সর্বাংহুদা গ্রাম সহ কয়েকটি গ্রাম বন্যায় কবলিত পানিবন্দী এলাকার অসহায় মানুষরা এখনো পর্যন্ত কোন সরকারি অনুদান পায়নি। শার্শা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ডাঃ কাজী নাজিব হাসান জানান, সর্বাংহুদা ও রঘুনাথপুর, ঘিবা, এলাকার মানুষ প্রতিবছরই ভারতীয় উজানের পানির ঢলে দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। তিনি আরও বলেন, উপজেলার পক্ষ থেকে আপাতত ১৬ টন চাল বরাদ্দ করা হয়েছে , ইতিমধ্যে কয়েকটি ইউনিয়নে এই চাল বিতরণ করা হয়েছে,এবং বন্যায় কবলিত অসহায় মানুষের আশ্রয় কেন্দ্রে পানিবন্দি পরিবারের মাঝে শুকনো ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে,এই ত্রাণ সামগ্রীর মধ্যে রয়েছে, চাল, ডাল, চিনি, তেল,
লবণ, মশলা সহ আরও অন্যান্য খাদ্য সমগ্র। তবে পর্যাপ্ত পরিমাণ ত্রাণ না থাকায় দেওয়া সম্ভব হয়নি,তাই পর্যায়ক্রমে সব কয়টি ইউনিয়নে এই ত্রাণ সামগ্রী দেয়া হবে। যাতে করে কোন বন্যায় কবলিত অসহায় পরিবার এই ত্রাণ থেকে বঞ্চিত না হয়। এদিকে পানিতে স্কুল তলিয়ে যাওয়ায় তারা স্কুলে যেতে পারছে না। এছাড়া দ্বিতীয় সাময়িক পরীক্ষাও তারা দিতে পারছে না। বিকল্প ব্যবস্থা না করলে ছেলে মেয়েরা শিক্ষা থেকে পিছিয়ে যাবে বলে স্থানীয়রা মন্তব্য করেন।

