সৈকত হোসেন
যশোরে বিজিবি আলাদা অভিযানে ৩৬পিস সোনার বারসহ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে। যশোর ব্যাটালিয়ন (৪৯ বিজিবি) বৃহষ্পতিবার সকালে যশোরের কোদালিয়া ও তারাগঞ্জ এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। আটককৃতরা হচ্ছে, মানিকগঞ্জ জেলার সিঙ্গাইর উপজেলার আংগারিয়া সিংগাইর গ্রামের আকরাম হোসেনের ছেলে আশরাফুল ইসলাম সাজিদ (২৩), যশোর শহরের লোন অফিসপাড়ার নূর মোহাম্মদের ছেলে জাহিদ হোসেন (২৬), যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার শিমুলিয়া গ্রামের আনন্দ চন্দ্র দাসের ছেলে সুজন কুমার বাপ্পি (৩৪)। যশোর ৪৯ বিজিবির (যশোর ব্যাটালিয়ন) অধিনায়ক লে.কর্নেল সাইফুল্লাহ্ সিদ্দিকী জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিজিবির একটি টিম সকাল সাড়ে ৬টায় যশোর-মাগুরা মহাসড়কের কোদালিয়া বাজারে অবস্থান নেয়। এসময় তারা ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা একটি বাসে তল্লাশি চালিয়ে সাজিদকে গ্রেফতার করে। এরপর তার মানিব্যাগ থেকে ২টি স্বর্ণের বার উদ্ধার করা হয়। এছড়া বিজিবির অপর একটি টিম সকাল সাড়ে ৯টায় যশোর-নড়াইল সড়কের তারাগঞ্জ বাজার অবস্থান নিয়ে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা একটি বাসে অভিযান চালায়। এসময় তারা জাহিদ ও বাপ্পিকে আটক করে। এরপর তাদের কোমরে বিশেষ ভাবে লুকায়িত অবস্থায় ৩৪টি সোনার বার উদ্ধার করা হয়। দুই অভিযানে উদ্ধার করা সোনার ওজন ৫ কেজি ৩৩৪ গ্রাম। যার বাজার মূল্য ৭ কোটি ৮৯ লাখ ৫৩ হাজার ৮৬৮ টাকা। বিজিবির ওই কর্মকর্তা আরও জানান, গ্রেফতারকৃত আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছে তারা ঢাকার মানিকগঞ্জ ও যাত্রাবাড়ী এলাকার চোরাকারবারীদের কাছ থেকে সোনার বারগুলো সংগ্রহ করে। এরপর সোনার বারগুলোর বাহক হিসেবে এনে যশোর ও সাতক্ষীরার কলারোয়া সীমান্ত হয়ে ভারতে পাচারের চেষ্টা করছিলেন তাঁরা। জব্দ করা সোনা ট্রেজারিতে এবং আটককৃতদের কোতোয়ালি মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। যশোর হয়ে ভারতে পাচার করার উদ্দেশ্যে স্বর্ণগুলো নিয়ে যাচ্ছিল। তাদেরকে মামলা দিয়ে যশোর কোতোয়ালী মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। যশোরের কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসনাত বলেন, ‘আসামিদের আদালতে পাঠানোর পর বিচারক তাদের কারাগারে পাঠিয়েছেন।’

