শার্শা সংবাদদাতা
ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের দোসর জসিম ও হোসেনকে দ্বিতীয় দফা চাঁদার টাকা দিতে ব্যর্থ হওয়ায় পুত্রসহ ওসমান নামে এক চা দোকানি পালিয়ে বেড়াচ্ছে। তাদের ধরে নিয়ে গিয়ে একবার ৩০ হাজার টাকা চাঁদা আদায় করে। ভয়ভীত দেখিযে ফের ২লাখ টাকা চাঁদা চায় ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সন্ত্রাসী জসিম ও হোসেন গং।হাতে দা ও বোমা, কোমরে অস্ত্র নিয়ে প্রকাশ্যে চলে এই চাঁদাবাজি। টাকা জোগাড় করতে না পেরে প্রানের ভয়ে দুই সপ্তাহ সময় চায় দুর্বৃত্তদের কাছে। কিন্তু তারা মানতে নারাজ। টাকার জন্য বেনাপোলের বোয়ালিয়া গ্রামে ওসমান ও তার পুত্রকে বাড়ি থেকে ধরে আনে এই সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজ চক্র। ওসমানকে ধরে নেয়ার সময় তার শাশুড়ী সবজান বিবি সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজ জসিম ও হোসেনকে পায়ে ধরতে গেলে তাকে চাইনিজ কুড়াল দিয়ে কুপাতে যায়। এ ঘটনার পর চাঁদার টাকা দিতে না পারায় প্রায় দুই সপ্তাহ ভয়ে বাড়ি ছাড়া রয়েছে বলে অভিযোগ করেছে ওসমানের স্ত্রী। ভুক্তভোগি ওসমান বোয়ালিয়া গ্রামের ভুমিহীন নুরালীর ছেলে। আর দুর্বৃত্ত জসিম একই গ্রামের ইনছান আলীর ছেলে এবং হোসেন আলী আলম মিয়ার ছেলে। চায়ের দোকানদার ওসমানের স্ত্রী জাহানারা বেগম জানান, আমরা ফিরোজের কাছ থেকে একটি জমি ক্রয় বাবদ এর মধ্যেস্ততা করে বোয়ালিয়া গ্রামের ফকির এর ছেলে বাবু। আমরা বিশ্বাস করে সাড়ে ৯ লাখ টাকা বাবুর নিকট জমা রাখি। সে আমাদের ওই জমি আজ কাল রেজিষ্ট্রি করে দিবে বলে প্রায় ৮ মাস ঘুরায়। বিষয়টি দীর্ঘদিন হয়ে গেলেও বাবু আমাদের দিনের পর দিন ঘুরাতে থাকে। এদিকে জমির মালিক বোয়ালিয়া গ্রামের খোকন বিশ্বাসের ছেলে ফিরোজ জমি রেজিষ্ট্রি করে নিয়ে টাকার জন্য চাপ দেয়। এরপর আমরা বাধ্য হয়ে বিষয়টি জসিম ও হোসেনকে জানালে তারা দায়িত্ব নিয়ে বলে তাদের ৩০ হাজার টাকা দিলে বাবুর নিকট থেকে টাকা নিয়ে জমি রেজিষ্ট্রি করিয়ে দিবে। এই সংক্রান্ত চুক্তিতে তারা রাজী হয়ে প্রায় দেড় মাস আগে জমি রেজিষ্ট্রি করে নেয়। এবং জসিম ও হোসেনকে খুশি হয়ে ৩০ হাজার টাকা দেওয়া হয়। তারপরও ওরা দুইজন আমার ছেলে সাগর হাসান এর নিকট থেকে আরো ৫ হাজার টাকা নেয়। এরপর প্রায় ১৫ দিন পর তারা আমাদের চাপ দেয় এ টাকায় হবে না তাদের দুই লাখ টাকা দিতে হবে। আমরা গরীব মানুষ পরের জায়গায় ঘর বেধে থাকি এবং একটি চায়ের দোকান ছিল তাও বিক্রি করে দিয়েছি। এ টাকা কোথা থেকে দিব। টাকা না দিলে ওসমানকে মেরে হাত পা ভেঙ্গে দেওয়া হবে বলে হুমকি প্রদান করে। এরপর গত ১৫ দিন আগে ওরা বাড়িতে এসে চাইনিজ কুড়াল ধরে ওসমানকে ধরে নিয়ে যায়। এসময় আমরা মা ওসমানকে বাঁচানোর জন্য হোসেন ও জসিম এর পা জড়িয়ে ধরে। তখন তারা চাইনিজ কুড়াল দিয়ে আমার বৃদ্ধ মাকে কুপাতে যায়। ওসমানকে বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে বোয়ালিয়া গ্রামের বড়পুকুর নিয়ে ভয় দেখালে ওসমান প্রানের ভয়ে দুই লাখ টাকা দিতে শিকার হয। এরপর এ্কই গ্রামের শরিফুল তাদের বাড়িতে বসবাস করার জন্য বলে। এবং সে বলে দেয় কোন টাকা দিতে হবে না। আপনারা গরীব মানুষ টাকা কি ভাবে দিবেন। ওরা কিছু বললে আমি বিষয়টি দেখব। আমরা বাড়িতে বসবাস করলেও জসিম ও হোসেন এর হুমকিতে অসুস্থ হয়ে প্রানের ভয়ে ওসমান পলাতক রয়েছে। থানায় কেন অভিযোগ দেননি এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ভয়ে আমরা অভিযোগ করতে সাহস পায়নি। ওই দুই জন এখনও ওসমানকে খুজে বেড়াচেছ এবং টাকার জন্য হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। স্থানীয়রা জানায়, জসিম ও হোসেন হচ্ছে আওয়ামী সন্ত্রাসী। বোয়ালিয়া মোড়ে জসিম ও হোসেন এর খোঁজ করে পাওযা যায়নি।

