নিজস্ব প্রতিবেদক
যশোর জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের অভিযানে আন্তঃজেলা মোটরসাইকেল চোরচক্রের আরও চার সদস্যকে আটক করা হয়েছে। এসময় তাদের হেফাজত থেকে সাতটি চোরাই মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়। শুক্রবার (১২ সেপ্টেম্বর) বিকেলে যশোরের পুলিশ সুপার রওনক জাহান নিজ কার্যালয়ের কনফারেন্স রুমে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান। আটককৃতরা হলেন, গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার শংকরপাশা গ্রামের জাকির হোসেনের ছেলে তামিম খান, সদর উপজেলার মৃত আলমগীর শেখের ছেলে মুরসালিন, একই উপজেলার সোনাকুড়া গ্রামের এনামুল শিকদারের ছেলে আজিম শিকদার এবং কাশিয়ানী উপজেলার বাট্রাইধোবা
গ্রামের মিজানুর রহমানের ছেলে হাসানুর রহমান। পুলিশ সুপার জানান, গত ৯ জুলাই যশোর শহরের পালবাড়ি মোড়ে চোরাই মোটরসাইকেল বিক্রির প্রস্তুতিকালে আন্তঃজেলা চক্রের অন্যতম হোতা ও ৩০ মামলার আসামি নরেন্দ্রপুরের শহিদুল ইসলাম শহিদকে আটক করা হয়। পরে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে নড়াইল ও গোপালগঞ্জ জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ছয়জনকে আটক করা হয় এবং উদ্ধার করা হয় চারটি মোটরসাইকেল। এ ঘটনায় কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলা দায়ের করা হয়। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই কামরুজ্জামান ও এএসআই রঞ্জন কুমার বসু তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় চক্রের অন্যান্য সদস্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান চালান।
এরই ধারাবাহিকতায় ১১ ও ১২ সেপ্টেম্বর গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী, মুকসুদপুর ও সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ওই চারজনকে আটক করা হয়।তাদের হেফাজত থেকে দুটি ইয়ামাহা আর–১৫, তিনটি সুজুকি গিক্সার, একটি পালসার ও একটি ইয়ামাহা এফজেড ভি৩ উদ্ধার করা হয়েছে। শুক্রবার আটক চারজনকে আদালতে সোপর্দ করলে তামিম স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। আদালত চারজনকেই কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক-সার্কেল) আহসান হাবীব, ডিবি পুলিশের অফিসার ইনচার্জ মঞ্জুরুল হকসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।