প্রতিদিনের ডেস্ক
স্থানীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদন এবং বাসিন্দাদের মতে, শুক্রবার রাখাইন রাজ্যের কিয়াউকতাও টাউনশিপের থায়াত তাবিন গ্রামে একটি বেসরকারি বোর্ডিং স্কুলে মায়ানমার জান্তা বাহিনীর বিমান হামলায় ২২ জন নিহত হয়েছেন, যাদের বেশির ভাগই স্কুলছাত্র। গত বছরের জানুয়ারি থেকে কিয়াউকতাও শহর আরকান আর্মি (এএ)-এর নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। স্থানীয় সময় রাত ১টায় সংঘটিত বিমান হামলার সময় ৫০০ পাউন্ড ওজনের দুটি বোমা ‘পিননিয়া পান খিন’ উচ্চ বিদ্যালয় এবং কাছাকাছি একটি এলাকায় আঘাত হানে। এদিকে স্থানীয় জাতিগত সংখ্যালঘু সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মি (এএ) জানিয়েছে, নিহতদের মধ্যে শিশুরাও রয়েছে শনিবার টেলিগ্রামে দেওয়া এক বিবৃতিতে এএ জানায়, শুক্রবার রাতের পরপরই কিয়াউকতাও টাউনশিপের দুটি বেসরকারি হাই স্কুলে হামলা চালানো হয়। এতে ১৫ থেকে ২১ বছর বয়সী ১৯ জন শিক্ষার্থী নিহত হন এবং ২২ জন আহত হন। বিবৃতিতে বলা হয়, ‘নিরীহ শিক্ষার্থীদের মৃত্যুর ঘটনায় আমরা তাদের পরিবারের মতোই গভীর শোকাহত।’ আরাকান আর্মি হামলার জন্য সেনা জান্তাকে দায়ী করলেও, এএফপি সেনা মুখপাত্রের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও কোনো মন্তব্য পায়নি। এক বিবৃতিতে ইউনিসেফ এ নৃশংস হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। তারা বলেছে, ‘এই হামলা রাখাইন অঙ্গরাজ্যে ক্রমবর্ধমান ভয়াবহ সহিংসতার ধারার অংশ। শিশু ও পরিবারগুলো এর চরম মূল্য দিচ্ছে।’ ইন্টারনেট ও ফোন সংযোগ অস্থিতিশীল থাকায় কিয়াউকতাও এলাকার স্থানীয়দের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেনি এএফপি। মায়ানমারের সেনারা দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সশস্ত্র বিরোধিতার মুখে রয়েছে এবং বেসামরিক জনগণের ওপর বিমান ও গোলাবর্ষণের অভিযোগ নিয়মিতই উঠছে। সূত্র : এএফপি, ইরাবতি

