১৯শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ  । ৪ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ 

যশোরে বিচারকের বিরুদ্ধে আইনজীবীদের অনাস্থা

#চার কার্যদিবস মধ্যে দাবি না মানলে আদালত বর্জনের হুঁশিয়ারি

নিজস্ব প্রতিবেদক
যশোরের যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক রাশেদুর রহমানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রকাশ করেছেন আইনজীবীরা। তাদের অভিযোগ, বিচারক খেয়াল খুশিমতো সিদ্ধান্ত দিচ্ছেন এবং রায়ের ক্ষেত্রে নির্ধারিত রীতিনীতি উপেক্ষা করছেন। এতে ন্যায়বিচার ব্যাহত হচ্ছে বলে দাবি আইনজীবীদের। প্রায় ২০০ আইনজীবী লিখিতভাবে যশোর জেলা আইনজীবী সমিতিকে বিষয়টি অবহিত করেন। এরপর সমিতি থেকেও জেলা ও দায়রা জজকে অবহিত করা হলেও কোনো প্রতিকার না মেলায় আদালত বর্জনের সিদ্ধান্ত নেন আইনজীবীরা। গত বুধবার আইনজীবী সমিতির নির্বাহী কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয় এবং বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) জরুরি সাধারণ সভা আহ্বান করা হয়। তবে পরিস্থিতির গুরুত্ব অনুধাবন করে ভারপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মো: সালেহুজ্জামান উভয় পক্ষকে আলোচনায় বসান। আলোচনায় উপস্থিত ছিলেন পিপি সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি আবু মোর্ত্তজা ছোট, সাধারণ সম্পাদক এম.এ. গফুর, সাবেক সভাপতি দেবাশীষ দাস, কাজী ফরিদুল ইসলাম, সিনিয়র আইনজীবী মঈনুল হক ময়না, এপিপি নুরে আলম পান্নু এবং সংশ্লিষ্ট বিচারক রাশেদুর রহমান। আইনজীবীরা অভিযোগ করেন, বিচারক রাশেদুর রহমান আদালতে শৃঙ্খলা ও পেশাদারিত্ব বজায় রাখতে ব্যর্থ হচ্ছেন। তিনি বার ও বেঞ্চের সঙ্গে সমন্বয়হীনভাবে কাজ করছেন, আইনজীবীদের অবমূল্যায়ন করছেন এবং কখনো কখনো আসামিদের আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দিয়েই একতরফাভাবে রায় ঘোষণা করছেন। এতে বিচারপ্রার্থীদের মাঝে অসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছে বলে তারা জানান। আলোচনায় বিচারক রাশেদুর রহমান নিজের অবস্থান ব্যাখ্যা করেন এবং ভবিষ্যতে সতর্কতার সঙ্গে কাজ করবেন বলে প্রতিশ্রুতি দেন। সেই সঙ্গে বার ও বেঞ্চের মধ্যে সুসম্পর্ক বজায় রাখার আশ্বাস দেন। পরে আইনজীবী সমিতির সাধারণ সভায় আলোচনার সারসংক্ষেপ তুলে ধরা হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন সমিতির সভাপতি আবু মোর্ত্তজা ছোট। বক্তব্য রাখেন সাবেক সভাপতি দেবাশীষ দাস ও সাধারণ সম্পাদক এম.এ. গফুর। সভায় সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত হয়, চার কার্যদিবস পর্যবেক্ষণ করা হবে। এর মধ্যে প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন না হলে রাশেদুর রহমানের আদালত বর্জনের ঘোষণা দেয়া হবে। এছাড়া আরও তিন বিচারকের বিরুদ্ধেও নানা অভিযোগ আনা হয়; প্রয়োজনে তাদের আদালত বর্জনের সিদ্ধান্ত নেয়ার কথাও সভায় আলোচনা হয়। উল্লেখ্য, বিচারক রাশেদুর রহমানের বিরুদ্ধে আইনজীবীরা নানা অভিযোগ করলেও তারা স্বীকার করেন যে তিনি অসৎ নন।

আরো দেখুন

Advertisment

জনপ্রিয়