১০ই আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ  । ২৫শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ 

থমথমে রাবি ক্যাম্পাসে রাকসু নির্বাচন নিয়ে শঙ্কা

প্রতিদিনের ডেস্ক:
পোষ্য কোটা ইস্যুতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে পূর্ণদিবস কর্মবিরতি পালন করছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। এরই প্রভাবে থেমে আছে আসন্ন রাকসু নির্বাচনের প্রচার প্রচারণা। তবে শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শিক্ষার্থী উভয় পক্ষই তাকিয়ে আছেন বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেটের জরুরি সভার সিদ্ধান্তের দিকে। যেটি রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৩টায় হওয়ার কথা রয়েছে।রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতি ফলকের সামনের লিচুতলায় অবস্থান নিয়েছেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। তবে কোনো শিক্ষককে সেখানে অবস্থান নিতে দেখা যায়নি। কর্মবিরতিতে বন্ধ রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব ধরনের অফিসিয়াল কার্যক্রম। কিন্তু কিছু কিছু বিভাগ নিজ উদ্যোগে ক্লাস-পরীক্ষা নিচ্ছে।কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের দাবি, শনিবার যারা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য, শিক্ষক ও কর্মকর্তাদের গায়ে হাত তুলেছে তাদেরকে আজকের মধ্যেই বহিষ্কার করতে হবে। প্রাতিষ্ঠানিক সুবিধাও নিশ্চিত করতে হবে বলে জানান তারা।এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিসার্স সমিতির সভাপতি মুক্তার হোসেন বলেন, গতকাল ছাত্র নামধারী কিছুসংখ্যক সন্ত্রাসীর হামলায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত হয়েছেন। এমনকি তাকে বাসাতেও ঢুকতে দেওয়া হয়নি। এদেরকে চিহ্নিত করে বিশ্ববিদ্যালয় আইনে শাস্তি দিতে হবে।এই আন্দোলন রাকসু নির্বাচনে কোনো প্রভাব ফেলবে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, রাকসুতে এই আন্দোলন কোনো প্রভাব ফেলবে না। রাকসুকে আমরা আমাদের কর্মসূচির বাহিরে রেখেছি।এসময় অফিসার্স সমিতির কোষাধ্যক্ষ মাসুদ রানা বলেন, গতকালকের ঘটনায় যারা জড়িত তাদের ছাত্রত্ব বাতিল করতে হবে। যারা বহিরাগত তাদেরকে আনইনানুগ ব্যবস্থা নিতে হবে। যদি শাস্তি নিশ্চিত করা না হয় আগামীকাল থেকে আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের সব কিছু শাটডাউন করে দিব।এদিকে সকাল থেকে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে ক্যাম্পাসজুড়ে। আসন্ন রাকসু নির্বাচনের প্রচারণায়ও নামতে দেখা যায়নি প্রার্থীদের। এমন পরিস্থিতি নিয়ে রাকসু নির্বাচন আদৌ হবে কি না সেটা নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন অনেকে। তবে জানা গেছে দুপুরের পর থেকে প্রার্থীরা প্রচারণায় নামবেন।এর আগে শনিবার বিকেল তিনটার দিকে উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) প্রশাসনিক ভবন থেকে বের হলে পোষ্য কোটা বাতিলের দাবিতে শিক্ষার্থীরা তার গাড়ি আটকে দেন। পরে তিনি হেঁটে তার বাসভবনের দিকে যেতে থাকেন। কিন্তু শিক্ষার্থীরা তার বাসভবনের ফটকে তালা লাগিয়ে দিলে তিনি জুবেরী ভবনের দিকে যান। তার সঙ্গে প্রক্টর মাহবুবর রহমানও ছিলেন। বিকেল সাড়ে চারটার দিক থেকে জুবেরী ভবনে সহ-উপাচার্য মাঈন উদ্দীনসহ বেশ কয়েকজন শিক্ষক ও কর্মকর্তাকে আটকে রাখেন শিক্ষার্থীরা।এমন পরিস্থিতিতে শনিবার রাত পৌনে ১০টার দিকে উপ-উপাচার্যসহ অন্য শিক্ষকদের ‘লাঞ্ছিত’ করায় জড়িত ব্যক্তিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে রোববার কর্মবিরতির ডাক দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের সভাপতি আবদুল আলিম। সিনেট ভবনের সামনে সংবাদ সম্মেলনে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের সব কর্মকর্তা-কর্মচারীও কর্মবিরতিতে থাকবেন বলে উল্লেখ করেন।

আরো দেখুন

Advertisment

জনপ্রিয়