আনিছুর রহমান, বেনাপোল
বেনাপোল পোর্ট থানার ছোট আঁচড়া গ্রামের মিজান ওরফে কসাই মিজান হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটনে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর দৃশ্যমান পদক্ষেপ নেই। যেকারণে প্রায় এক মাস পেরিয়ে গেলেও উদ্ঘাটন হয়নি চাঞ্চল্যকর মিজান হত্যার রহস্য। যেকারণে নিহত মিজানের পরিবারে চরম হতাশা নেমে এসেছে। স্থানীয়দের মধ্যেও আলোচনা ও সমালোচনার ঝড় উঠেছে। নিরাপত্তা বেষ্টিত বাড়িতে কোন বহিরাগত প্রবেশের চিহ্ন না পাওয়া এবং সিসি ক্যামেরার ফুটেজে ঘটনার স্পষ্ট তথ্য না থাকার কারণে সন্দেহের তীর এখন মিজানের স্ত্রী ফিরোজার দিকে অনেকের। মিজানের ছেলে ওমর ফারুক জানান, ঘটনার রাত প্রায় সাড়ে ১২টা পর্যন্ত আমি গেম খেলছিলাম। কখন এবং কীভাবে বাবা খুন হল, কিছু বলা যায় না। তবে মায়ের আচরণ রহস্যজনক। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে হয়ত সত্য উদঘাটন হতে পারে। নিহত মিজান অনেক ঋণগ্রস্ত ছিলেন এবং একটি জমি বিক্রির বিষয় চলছিল। প্রাথমিকভাবে এ নিয়েও ধূম্রজাল তৈরি হয়েছে—হত্যা পরিবারকে কেন্দ্র করে, অভিমানজনিত আত্মহত্যা বা অন্য কোনের হস্তক্ষেপ।
রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) সকালে মিজানের ছেলে ওমর ফারুক জানান, আগের দিন পরিবারের মধ্যে কথা কাটাকাটির ঘটনা ঘটেছিল, তবে তা এমন যে বাবা আত্মহত্যা করবে, তা নয়। মায়ের কোনো সংশ্লিষ্টতা আছে কি না, সে বিষয়ে আমি কিছু বলতে পারছি না। তাঁর অবস্থান বাড়িতে। তবে থানার ভিতরে দেখা যায়, মিজানের স্ত্রী ডিউটি অফিসারের রুমের বেঞ্চে শুয়ে আছেন, আর মেয়ে চেয়ারে বসে ছিলেন। প্রশ্ন করলে তারা চলে যান। বেনাপোল পোর্ট থানার সদ্য বিদায়ী ইনচার্জ মো: রাসেল মিয়া বলেন, ময়না তদন্ত রিপোর্ট না আসলে রহস্য উদঘাটন করা কঠিন হচ্ছে। তবে পরিবারের সদস্যরা থানার নজরদারিতে আছেন।
স্থানীয়রা মনে করছেন, সিসি ফুটেজ, পরিবারের কণ্ঠস্বর ও জমির লেনদেনের তথ্য মিলিয়ে দ্রুত তদন্ত না করলে রহস্য দীর্ঘায়িত হতে পারে।

