প্রতিদিনের ডেস্ক
শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত অনিশ্চয়তার দোলাচলে দুলছিল ম্যাচ। কখনও রায়ো ভায়েকানো এগিয়ে, কখনও অ্যাটলেটিকো বিপদে। কিন্তু রাতের নায়ক হয়ে উঠলেন একজনই- জুলিয়ান আলভারেজ। তার দুর্দান্ত হ্যাটট্রিকে অবশেষে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ পেল মরিয়া হয়ে খোঁজা জয়ের স্বাদ। মেট্রোপলিতানোয় রোমাঞ্চকর লড়াইয়ে তারা হারালো রায়ো ভায়েকানোকে ৩-২ গোলে।মৌসুমের শুরুটা মোটেও ভালো যাচ্ছিল না দিয়েগো সিমিওনের দলের। এমন সময়ে ম্যাচের শুরুতেই আলভারেজ ডান পায়ে আক্রমণ সাজালেন। মার্কোস ইয়োরেন্তের নিখুঁত ক্রস থেকে বাঁ পায়ে দারুণ ফিনিশে প্রথম গোল এনে দিলেন দলকে। মনে হচ্ছিল, সহজ জয় ধরা দেবে।
কিন্তু রায়ো ভায়েকানো লড়াই ছাড়েনি। প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে পেপ চাভারিয়ার এক দুর্দান্ত গোল চমকে দেয় সবাইকে। প্রায় ৩৫ গজ দূর থেকে ঝড়ো শটে ইয়ান ওবলাককে পরাস্ত করে সমতায় ফেরান তিনি। দ্বিতীয়ার্ধে আবারও ধাক্কা খায় অ্যাটলেটিকো। ইসি পালাজনের নিখুঁত থ্রু-বল ধরে আলভারো গার্সিয়া কোণাকুণি শটে গোল করে ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে দেন রায়োকে।
তবে ম্যাচের গল্প তখনও লেখা শেষ হয়নি। শেষ ১০ মিনিটে নায়কের মতো এগিয়ে আসেন আলভারেজ। প্রথমে কাছ থেকে বল ঠেলে সমতায় ফেরান অ্যাটলেটিকোকে। এরপর যোগ করেন ম্যাচের সবচেয়ে সুন্দর মুহূর্ত। জুলিয়ানো সিমিওনের পাস থেকে বাঁ পায়ে দারুণ শটে বল জড়িয়ে দেন জালের শীর্ষ কোণে। সম্পূর্ণ করেন ক্যারিয়ারের এক স্মরণীয় হ্যাটট্রিক, বাঁচান অ্যাটলেটিকোকে লজ্জাজনক পরাজয়ের হাত থেকে।
ম্যানচেস্টার সিটি ছেড়ে মাদ্রিদে আসা আর্জেন্টাইন তারকা যেন প্রমাণ করলেন- দল যখন বিপদে, তখনই তিনি সেরা। চাপের মুহূর্তে গোল করার তার ক্ষমতা শুধু তিন পয়েন্টই এনে দেয়নি, বরং সিমিওনের জন্য এনে দিয়েছে অনেকটা স্বস্তির নিঃশ্বাস।মেট্রোপলিতানোর আলোয় তাই এই ম্যাচের গল্প একটাই- জুলিয়ান আলভারেজের হ্যাটট্রিক, আর অ্যাটলেটিকোর বহুকাঙ্ক্ষিত জয়।