মাসুম বিল্লাহ, কেশবপুর
কেশবপুর উপজেলার কেদারপুর গ্রামের মেম্বার কামরুল ইসলামের বিরুদ্ধে সরকারি ৬০ শতক খাস জমি জবর দখলের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এছাড়া, ওই মেম্বার সরকারি ইটের সোলিং সড়ক দখলসহ খাস জমিতে পুকুর খনন করে জনগণের চলাচলে বিঘœ সৃষ্টি করছে। যেকারণে সড়কটি বর্তমান ব্যবহারের অনুপযোগি হয়ে পড়েছে। এলাকাবাসী বিষয়টি নিরসনে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে অভিযোগ করলে তিনি অভিযোগটির তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্যে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি)কে নির্দেশ দিলেও গত ৫ মাসে তা আলোর মুখ দেখেনি। অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার মঙ্গলকোটি ইউনিয়নের কেদারপুর গ্রামের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশ থেকে নুরানিয়া সরদার পাড়া পর্যন্ত একটি সরকারি ইটের সোলিং সড়ক রয়েছে। এলাকার মেম্বার কামরুল ইসলাম ওই সড়কসহ সরকারি ৬০ শতক খাস জমি জবর দখল করে পুকুর খনন করে গাছ লাগিয়ে ভোগ দখল করছেন। ফলে সড়কটি পুকুরে ধসে বিলীন হয়ে জনগণের চলাচলে বিঘœ সৃষ্টি হচ্ছে। এঘটনায় গত এপ্রিলে সরকারি খাস জমি উদ্ধারসহ সড়কটি পুণঃসংস্কারের জন্যে এলাকাবাসী উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে একটি অভিযোগপত্র দাখিল করেন। গত ২৩ এপ্রিল তিনি ৪৯৯/১(১) নং স্মারকে অভিযোগটির তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্যে উপজেলা সহকারী কমিশনারকে (ভূমি) নির্দেশ দেন। ঘটনাটি দীর্ঘ ৫ মাস হলেও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) তন্তের নামে সময় ক্ষেপণ করায় তা ধাপাচাপা পড়ার উপক্রম হয়েছে। এলাকার বিল্লাল হোসেন বলেন, ইটের সোলিং সড়ক দিয়ে এলাকার কোমলমতি শিশু শিক্ষার্থীরা স্কুলে যাওয়াসহ মসল্লিরা মসজিদে যেতে সড়কটি ব্যবহার করে থাকে। সড়কটি পুকুরে ধসে নষ্ট হওয়ায় জনগণকে ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে। এলাকাবাসী দীর্ঘদিন ধরে ওই মেম্বারের হাত থেকে সরকারি খাস জমি উদ্ধারসহ সড়কটি পুণঃস্কারের দাবি জানিয়ে আসছে। কিন্তু অধ্যাবধি তা পূরণ হয়নি। এদিকে, গ্রামবাসী উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে অভিযোগ দেয়ার পর থেকে ওই মেম্বার পলাতক রয়েছে।