আনিছুর রহমান, বেনাপোল
যশোরের শার্শা উপজেলার গোগা ইউনিয়নের গোগা কলেজ মোড়ে দুই গ্রুপের মধ্যে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ককটেল বিস্ফোরণে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের তিন জন আহত হয়েছে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) রাত সাড়ে সাতটার দিকে এ ঘটনা ঘটে। আহত মিনারুল (২২) গোগা গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে। তাকে শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। বর্তমানে তিনি আশঙ্কামুক্ত। অপরপক্ষের আহত হলেন গোগা গ্রামের রিজাউল এর ছেলে বনি আমিন (৩৩) ও মাজেদ এর ছেলে ওমর আলী (৫০)। ঘটনার সূত্রপাত হয় গোগা এলাকার “রাজ ব্রিকস” ভাটার জমি লিজের টাকা নিয়ে বিরোধকে কেন্দ্র করে। ওই ভাটার মালিক প্রবাসী হযরত আলী। ভাটার মধ্যে স্থানীয় জাহিদ হোসেনের প্রায় দেড় বিঘা জমি রয়েছে। সকালে জাহিদ লিজের টাকা চাইতে গেলে ভাটার দায়িত্বে থাকা সাজু বদ্দি ও তার সহযোগীদের মধ্যে তর্ক বিতর্ক ও হাতাহাতি হয়। পরে স্থানীয়রা সন্ধ্যায় স্থানীয় বিএনপি নিয়ন্ত্রিত এক ক্লাবে মীমাংসা বৈঠকের আয়োজন হয়। ওই ক্লাবে বসার আগে ৭মাসের শিশুকে নিয়ে বনি আমিন ডাক্তারের কাছে যাওয়ার সময় সিরাজুল ইসলামের সমর্থিত লোকজন বনি আমিনকে মারধর করে এবং তার একটি মোটর সাইকেল ও স্ত্রীর কাছে থাকা সোনার চেইন ছিড়ে নেয়। এরপর সিরাজুলের বিপক্ষে সুলতান সমর্থিত বনি আমিনকে মারধরের ঘটনাটিকে কেন্দ্র করে সন্ধ্যায় শুরু হয় ককটেল বিস্ফোরণ। এতে উভয়পক্ষ কলেজ মোড়ে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটালে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এলাকার লোকজন দিকবিদিক ছুটাছৃটি করতে থাকে। খবর পেয়ে শার্শা থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে এলাকায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। এসময় উভয় পক্ষের ককটেল বিস্ফোরণে মিনারুল নামে এক যুবক আহত হয়। আঘাত প্রাপ্ত বনি আমিন ও ওমর আলী শার্শা বুরুজ বাগান হাসপাতালে চিকিৎসা নেন। বর্তমান ইটভাটার পরিচালক আমেরিকা প্রবাসী হযরত আলীর ভাই সুলতান বলেন সিরাজুল এবং সে নিজে এই গোগা ওয়ার্ড-এর বিএনপি সভাপতি প্রার্থী। সিরাজুল আমাকে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য জমির মালিকদের লেলিয়ে দিয়ে এসব গোলগোল পাকাচ্ছে। জমির মালিকদের মেয়াদ এখনো শেষ হয়নি। আর তাদের দাবিকৃত টাকা মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে তার ভাই হযরত আলী মিটিয়ে দিবেন বলে আশ্বস্থ করেছেন। কিন্তু পিছন থেকে সিরাজুল ইন্ধন জুগিয়ে এলাকায় ত্রাস সৃষ্টি করছে। এ বিষয় থানায় কোন মামলা বা অভিযোগ হয়েছে কিনা জানতে চাইলে শার্শা থানা ওসি আব্দুল আলীম বলেন, গোগা গ্রামে ককটেল বিস্ফোর এর ঘটনা সত্য। তবে এখনো থানায় কোন মামলা হয়নি।

