জি এম ফারুক আলম, মণিরামপুর
যশোরের মণিরামপুর উপজেলা বিএনপি প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক, সাবেক সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোহাম্মদ মুছা ইন্তেকাল করেছেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্নাইলাইহি রাজিউন)। শুক্রবার দিবাগত রাত তিনটার দিকে যশোর কুইন্স হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮০ বছর। মরহুমের ছোট ছেলে মইনুল ইসলাম মইন জানান, শনিবার জোহরবাদ মণিরামপুর আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে প্রথম নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। রোববার বেলা ১১টায় মরহুমের গ্রামের বাড়ি উপজেলার চালুয়াহাটি ইউনিয়নের আটঘোরা গ্রামে দ্বিতীয় নামাজে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে।

মরুহমের প্রথম জানাযা নামাজে অংশ নেয় ও গভীর শোক প্রকাশ করেছেন, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, দলটির সাবেক দপ্তর সম্পাদক মফিকুল হাসান তৃপ্তি, নির্বাহী কমিটির সদস্য আবুল হোসেন আজাদ, যশোর জেলা বিএনপির সভাপতি এ্যাড. সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু, সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন খোকন, কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ, কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম সহ-সম্পাদক ইখতেখার সেলিম অগ্নি, মণিরামপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি এ্যাড. শহীদ ইকবাল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান মিন্টু, জমিয়াত উলামায়ে ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব রশিদ বিন ওয়াক্কাস, জেলা জামায়াতে ইসলামের কর্ম পরিষদ সদস্য সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট গাজী এনামুল হক, উপজেলা জামায়াতে ইসলামের সাধারণ সম্পাদক খলিলুর রহমান, ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশের মণিরামপুর সভাপতি ইবাদুল ইসলাম মনু খালাসি সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী, সামাজিক, পেশাজীবি ও সংগঠন অংশগ্রহণ করেন এবং শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেন। জানাযা নামাজে জনসমুদ্রের ঢল নামে। বর্ণাঢ্য দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে মোহাম্মদ মুছা নিজেকে মণিরামপুর বিএনপির অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে গড়ে তোলেন। দলটি প্রতিষ্ঠার সময় ১৯৭৮-১৯৯০ পর্যন্ত তিনি মণিরামপুর থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯০-২০০২ সাল পর্যন্ত মণিরামপুর থানা বিএনপির সভাপতি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৮৯ সালে তিনি মণিরামপুর উপজেলা পরিষদে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। এর আগে নিজ ইউনিয়ন চালুয়াহাটিতে কয়েকবার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। বিগত আওয়ামীলীগ সরকারের রাজনৈতিক হয়রানিমূলক মামলায় বেশ কয়েকবার কারাভোগ করেন তিনি। পেশাগত জীবনে ছিলেন শিক্ষক। সৎ ও কর্মীবান্ধব হিসেবে এলাকায় দল-মত নির্বিশেষে সবার মাঝে জনপ্রিয়তার শীর্ষে ছিলেন। বর্তমানে তিনি যশোর জেলা বিএনপির সহসভাপতি পদে দায়িত্ব পালন করছিলেন। আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির মনোনয়নে তিনি সাংবাদিকদের কাছে প্রার্থী হওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন। মোহাম্মদ মুছার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ বিবৃতি দিয়েছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এছাড়া বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক নার্গিস ইসলাম শোকাবহ পরিবারে উপস্থিত হয়ে স্বজনদের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন। নেতৃবৃন্দ মরহুমের আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন ও শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা প্রকাশ করেছে সর্বস্তরের জনগণ।

