১৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ  । ২রা ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ 

বেনাপোলে পরিবহন চালককে মারধরের ঘটনার প্রতিবাদে ৪ ঘন্টা সড়ক অবরোধ

আনিছুর রহমান, বেনাপোল
পরিবহন চালককে অন্যায় ভাবে মারধরের ঘটনার প্রতিবাদে যশোর বেনাপোল মহাসড়ক ৪ ঘন্টা অবোরোধ করে রাখে পরিবহন শ্রমিকরা। রোববার ( ৫ অক্টোবার ) সকাল সাড়ে ৮ টার সময় বেনাপোল থেকে ঢাকা মুখি ছেড়ে যাওয়া সোহাগ ( গাড়ি নাম্বার ঢাকা মেট্রো ব-১৫-৫১১৯) পরিবহন এর একটি বাস আমড়াখালী বিজিবি চেকপোষ্টে পৌছালে গাড়ি সাইড করানো নিয়ে তর্কবিতর্কর এক পর্যায়ে সোহাগ পরিবহনের চালক অপুকে মারধর করে এবং তাদের অস্থায়ী ক্যাম্প এর ভিতর নিয়ে বুট জুতা দিয়ে লাথি মারার প্রতিবাদের বেনাপোল পরিবহন শ্রমিকরা সড়ক অবরোধ করে। এর পর শার্শা ওসির সুষ্টু বিচারের আশ্বাসে তারা বেলা ১২ টার সময় অবোরোধ তুলে নেয়।পরিবহন চালক অপু বলেন, গাড়িতে যাত্রী না থাকায় আমি আমড়াখালি বিজিবি চেকপোষ্টের সামনে গাড়ি নাম্বার এন্ট্রি করার জন্য রাখি। এসময় নেমপ্লেড ব্যাবহার না করা একজন বিজিবি সদস্য আমাকে বলেন এখানে না রেখে সামনে যান। আমি এসময় তাকে বলি গাড়িতে যেহেতু যাত্রী নাই আপনি ডালা খুলে দেখে নাম্বার এন্ট্রি করে ছেড়ে দেন। এসময় তিনি ডালা খুলে দেখে আবারও আমাকে বলে কেন এখানে রাখলেন। এভাবে বার বার আমাকে সে চার্জ করতে থাকেন। আমিও তাকে বলি এখানে তো কোন ঝামেলা দেখছি না। আপনি নাম্বার লিখে আমার গাড়ি দেখে ছেড়ে দিলে এত সময় আমি চলে যেতে পারি। এরপর সে আমাকে জামার কলার্ট ধরে টেনে রাস্তায় এনে মারতে মারতে ক্যাম্পে নিয়ে যায়। সেখানে আবারও কয়েকজন বিজিবি সদস্য আমাকে বুট জুতা দিয়ে লাথি মারতে থাকে। পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়ন এর বেনাপোল শাখার সাধারন সম্পাদক মিজানুর রহমান বলেন, বেনাপোল থেকে সোহাগ পরিববহনের একটি এসি বাস সকাল সাড়ে ৮ টায় ঢাকার উদ্দেশ্য ছেড়ে যায়। এরপর আমড়া খালী নামক বিজিবি চেকপোষ্টে ওই গাড়ির চালককে মারধরের সংবাদ আসে । এরপর বেনাপোল থেকে সকল পরিবহন শ্রমিক ও ইউনিয়ন নেতারা ঘটনাস্থলে গিয়ে সত্যতা মেলে। এসময় বিক্ষুব্ধ পরিবহন শ্রমিকরা সড়ক অবোরোধ করে। পরে শার্শা থানার ওসি আব্দুল আলিম সহ বিজিবি ক্যাম্প কমান্ডারকে নিয়ে বসলে বিজিবি দুঃখ প্রকাশ করে। স্থানীয়রা জানায় বিজিবি এখানে বসে অযথা মানুষ হয়রানি করে। এরা সীমান্ত দিয়ে গাজা ফেনসিডিল আসে সে সব পণ্য না ধরে এখানে পাসপোর্ট যাত্রী ও সাধারন যাত্রীদের হয়রানি করে। বেনাপোল চেকপোষ্টে বিজিবি চেক করে ছেড়ে দিলেও আবার সেই যাত্রীদের এখানে আটকে বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে তাদের কাছে থাকা পণ্য রেখে দেয়। যশোর জেলা পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়ন এর সাধারন সম্পাদক অহিদুল ইসলাম বলেন, বিজিবি খাম খেয়ালী ভাবে গাড়ি তল্লাশি করে। তাদের আচারন শোভনীয় নয়। গাড়ি সাইড করাকে কেন্দ্র করে চালক অপুকে গায়ের জোরে মারধর করেছে এটা নিন্দনীয় অপরাধ। উপস্থিত বিজিবি সদস্যরা এ ঘটনার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করেন। এবং পরবর্তিতে যাতে এধরনের ঘটনা না ঘটে তা দেখবে বলে আশ্বস্থ করেন। এসময় শ্রমিকরা ওই বিজিবি সদস্যকে মারের বদলে মার হবে বলে চিৎকার করতে থাকে। এবং ক্যাম্প থেকে তাকে বের করে দেওয়ার জন্য শ্লোগান দেয়। শার্শা থানার ওসি ঘটনাস্থলে এসে পরিবহন শ্রমিকদের শান্ত করেন। এবং তিনি ওই অস্থায়ী ক্যাম্পের কমান্ডার এর সাথে শ্রমিক নেতাদের নিয়ে বসে পরিবেশ শান্ত করেন।

আরো দেখুন

Advertisment

জনপ্রিয়