২রা কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ  । ১৮ই অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ 

ডুমুরিয়ায় সড়কবিহীন চিতামারী খালের উপর দাঁড়িয়ে আছে সেতু!

ডুমুরিয়া সংবাদদাতা
সেতু নির্মাণ হয়েছে, কিন্তু রাস্তার কোন হদিস নেই। সড়কবিহীন ৫ বছর ডুমুরিয়ার চিতামারী খালের উপর এভাবে দাঁড়িয়ে আছে ২৯ লাখ টাকার একটি সেতু। প্রকল্পের অব্যবস্থাপনার কারণে উদ্বোধনের পরও স্থানীয় মানুষ সেতুর পূর্ণ সুবিধা পাচ্ছে না। এলাকাবাসী জানায়, উপজেলার শরাফপুর ইউনিয়নের চিতামারী খালের এক প্রান্তে বিল এবং অন্য প্রান্তে ঝালতলা গ্রাম। কৃষকের সুবিধার্থে ৩৬ ফুট দৈর্ঘ্যরে সেতুটি নির্মাণ করা হলেও বিল প্রান্তে আজও করা হয়নি রাস্তা। যে কারণে এলাকার সাধারণ মানুষ সেতুর পূর্ণ সুবিধা পাচ্ছে না। অসম্পূর্ণ সংযোগ সড়ক রেখেই ২০২০ সালের ১৭ মার্চ এই সেতুটি উদ্বোধন করেন সাবেক ভূমিমন্ত্রী নারায়ন চন্দ্র চন্দ। যার ফলে বিলের মধ্যে রাস্তা তো দূরের কথা সেতুর অ্যাপ্রোচ সড়কটি আজও অসম্পূর্ণ থেকে গেছে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের আওতায় ২৯ লাখ ১৭ হাজার টাকায় সেতুটি নির্মাণ করা হয়। মেসার্স খান ইন্টারন্যাশনাল নামক ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সেতুটি নির্মাণ করে। এদিকে ব্রীজ পার হলেই মালিকানা জায়গা। দু’পারে রাস্তার কোন ব্যবস্থা না করে অপরিকল্পিতভাবে ব্রীজ করা হয়েছে। এমন অভিযোগ এলাকার অধিকাংশ মানুষের। খালপাড় দিয়ে সড়ক না করলে ব্রীজের পূর্ণ সুফল বঞ্চিত হবে ঝালতলা ও সেনপাড়া গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ।
ঝালতলা গ্রামের সমরেশ মন্ডল জানান, সেতু করেছে কিন্তু এতে ওঠার কোন রাস্তা করেনি। ঝালতলার বিলে প্রচুর পরিমাণে তরমুজ, শশা ও টমেটোসহ বিভিন্ন ফসল উৎপাদন হয়। এসব সবজি মাথায় করে ব্রীজ পার হতে হয় কৃষকের। যদি ব্রীজে ওঠার ব্যবস্থা থাকতো তাহলে অন্তত ভ্যান গাড়িতে আনা সম্ভব হতো। শরাফপুর ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মনোরঞ্জন দাস জানান, ব্রীজটি করেছে কৃষকের উপকারের জন্য। কিন্তু এতে ওঠার ব্যবস্থা আজো করেনি ঠিকাদার। বিষয়টি নিয়ে সাবেক চেয়ারম্যান মরহুম শেখ রবিউল ইসলামের নিকট আমরা বহুবার বলেছি। তখন তিনি বলেছিলেন অ্যাপ্রোচ সড়ক না করে ঠিকাদার চূড়ান্ত বিল উত্তোলন করতে পারবে না। কিন্তু ৫ বছর অতিবাহিত হলেও ব্রীজে ওঠার রাস্তা করেনি ঠিকাদার। যেটুকু হয়েছে, তা গ্রামবাসীর চেষ্টায় এবং তাদের শ্রমে করা হয়েছে। তিনি বলেন, বিলের মধ্যদিয়ে যদি ওয়াপদা পর্যন্ত রাস্তা করা যেত, তা হলে সেতুর পূর্ণ সুবিধা এলাকার জনগণ পেতো। এ বিষয় উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা এসএম আবু আব্দুল্লাহ বায়েজিদ বলেন, সেতু নির্মাণ করার পর এতদিন কেন অ্যাপ্রোচ সড়ক হয়নি এটা আমার জানা নেই। তবে দ্রুত ব্রীজটি মানুষের ব্যবহারের উপযোগি করা হবে।

আরো দেখুন

Advertisment

জনপ্রিয়