আনিছুর রহমান, বেনাপোল
যশোর এর সীমান্ত উপজেলায় গত তিন দিনের ব্যাবধানে দুইজন ভ্যান চালক হত্যার ঘটনায় ভ্যান ও ইজিবাইক চালকরা ক্ষোভে ফেটে পড়ে মানববন্ধন ও সড়ক অবরোধ করে।বুধবার (১৫ অক্টোবর) বেলা ১২ টায় শার্শা উপজেলা পরিষদের সামনে ও নাভারন সাতীরা মোড়ে মানববন্ধন ও সড়ক অবরোধ কর্মসূচি পালন করেন স্থানীয় ভ্যান ও রিকশাচালকরা। মানববন্ধনে অংশ নেন শার্শা, নাভারণ ও বেনাপোল এলাকার শতাধিক ভ্যান ও্ ইজিবাকি চালকরা। কর্মসূচির এক পর্যায়ে তারা যশোর বেনাপোল মহাসড়ক অবরোধ করে রাখে প্রায় ৩৫ মিনিট। এতে মহাসড়কের উভয় পাশে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয় এবং বেনাপোল বন্দরমুখী পরিবহন চলাচল ব্যাহত হয়। মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, প্রতিদিনই কোথাও না কোথাও আমাদের ভাইদের গুম, খুন বা ছিনতাই করা হচ্ছে। আমরা ভ্যান চালিয়ে কষ্টে সংসার চালাই। আইন শৃংখলা বাহিনী যদি ব্যবস্থা না নেয়, তবে আমরা বৃহত্তর আন্দোলনে নামবো। এ সময় নিহত ভ্যানচালক মাসুদ রানার বাবা চোখ মুছতে মুছতে বলেন, আমার ছেলেটা ভ্যান চালিয়ে দুইটা বাচ্চার মুখে ভাত তুলে দিতো। এখন সেই ছেলেটার লাশই আমার বুকে ঠাঁই নিয়েছে। আমি খুনি ধরা পড়া চাই না আমি খুনিদের ফাঁসি চাই। যাতে আর কোনো বাবার বুক এভাবে খালি না হয়। বক্তারা আরও বলেন, মেহনতি মানুষের জীবন যেন নিরাপদ হয় এটাই আমাদের একমাত্র দাবি। আমরা কাজ করে খেতে চাই, মরতে নয়। গত শুক্রবার (১২ অক্টোবর) বিকেলে ঝিকরগাছা উপজেলার বায়সা ও আশিংড়ী গ্রামের মাঝামাঝি এলাকায় একটি নির্মাণাধীন বাড়ি থেকে নিখোঁজ ভ্যানচালক মাসুদ রানার (২১) মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তিনি শার্শা উপজেলার উলাশী গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন।এর দুই দিন পর, মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) সকালে শার্শা উপজেলার কাজিরবেড় গ্রামের একটি পরিত্যক্ত বাড়ির স্টিলের বাক্স থেকে উদ্ধার করা হয় আরেক ভ্যানচালক আব্দুল্লাহর (২৫) অর্ধ গলিত মরদেহ। পরপর দুই চালক হত্যাকান্ডের ঘটনায় শার্শায় ভ্যান ইজিবাইক চালকদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।

