১৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ  । ২রা ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ 

ব্রুকের রেকর্ডগড়া সেঞ্চুরি ম্লান করে নিউজিল্যান্ডের জয়

প্রতিদিনের ডেস্ক
হ্যারি ব্রুকের ঝড়ো ইনিংসে লজ্জা এড়াল ইংল্যান্ড, কিন্তু জয়টা তুলে নিল নিউজিল্যান্ড। তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচে মাউন্ট মঙ্গানুইয়ে কিউইদের কাছে ৪ উইকেটে হেরেছে সফরকারীরা। ম্যাচে ব্রুক খেলেছেন ক্যারিয়ারের অন্যতম সেরা ইনিংস। দল যখন বিপর্যয়ে, তখন ব্যাট হাতে ঝড় তুললেন এই ব্যাটার। ১১ ছক্কা ও ৯ চারে ১০১ বলে ১৩৫ রানের চোখ ধাঁধানো ইনিংস খেলেন তিনি। ইংল্যান্ডের ইনিংসে তার একার অবদান ছিল ৬০ শতাংশেরও বেশি (মোট ২২৩ রানের মধ্যে ১৩৫)। এটি ইংল্যান্ডের ওয়ানডে ইতিহাসে এক ব্যাটারের সর্বোচ্চ রান অবদান। ইংল্যান্ডের ইনিংস শুরু হয়েছিল দুঃস্বপ্নের মতো। স্কোরবোর্ডে মাত্র ৫ রানে ৩ উইকেট পড়ে যায়। এরপর ৩৩ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে আরও বিপদে পড়ে তারা। তবে ব্রুকের একার লড়াইয়ে ২০০ পার করে ইংলিশরা। তার পাশে ছিলেন শুধু জেমি ওভারটন, যিনি করেন ৪৬ রান।
দলীয় বিপর্যয়ের সময়েও শান্ত ছিলেন ব্রুক। বোলারদের সুইং সামলে ক্রিজে স্থির হয়ে খেলেছেন, বিশেষ করে বাতাসের গতিপথ কাজে লাগিয়ে একের পর এক পুল ও লফটেড শটে ছক্কা হাঁকান। ৮২ বলে সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন তিনি, তাতেও আসে টানা তিনটি ছক্কা। তবে শেষ পর্যন্ত ১৩৫ রানে থামেন মিচেল স্যান্টনারের বলে ক্যাচ তুলে দিয়ে। ইংল্যান্ডের ব্যাটিং বিপর্যয়ের পেছনে বড় ভূমিকা ছিল কিউই পেসারদের। ম্যাচের প্রথম বলেই ম্যাট হেনরির ডেলিভারিতে বোল্ড হন জেমি স্মিথ। পরের ওভারেই জ্যাক ফকস নেন পরপর দুটি উইকেট, ফেরান বেন ডাকেট ও জো রুটকে। তার আরেক দুর্দান্ত ডেলিভারিতে আউট হন তরুণ জ্যাক বেটেলও। এরপর জস বাটলার ও স্যাম কারানও ফিরে যান দ্রুত। রান তাড়ায় নিউজিল্যান্ডও শুরুতে বিপাকে পড়ে। মাত্র ৬৬ রানে চার উইকেট হারায় তারা। কিউই অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন ব্যক্তিগত প্রথম বলেই ফিরেন গোল্ডেন ডাকের শিকার হয়ে। ইংলিশ বোলার ব্রাইডন কার্স দুর্দান্ত বোলিংয়ে উইল ইয়ং ও টম ল্যাথামকেও ফেরান। তবে এরপরই বদলে যায় ম্যাচের চিত্র। ইংলিশ ফিল্ডারদের একের পর এক ক্যাচ মিসে ম্যাচ চলে যায় কিউইদের নিয়ন্ত্রণে। রুট ও লুক উডের হাত ফসকে যায় সহজ দুটি ক্যাচ, যার সুযোগ নিয়ে মাইকেল ব্রেসওয়েল ও ড্যারিয়েল মিচেল গড়েন গুরুত্বপূর্ণ জুটি। ব্রেসওয়েল ৫১ রানে রান আউট হলেও ৭৮ রানে অপরাজিত থেকে দলকে জয়ের বন্দরে নিয়ে যান মিচেল। শেষ দিকে স্যান্টনারের ব্যাটেও আসে ঝড়। দুই ছক্কা হাঁকিয়ে ম্যাচ শেষের আগেই ব্যবধান কমিয়ে আনেন তিনি। শেষ পর্যন্ত ১৩.২ ওভার বাকি থাকতেই জয় পেয়ে যায় নিউজিল্যান্ড।

আরো দেখুন

Advertisment

জনপ্রিয়