মাসুম বিল্লাহ, কেশবপুর
কেশবপুর উপজেলার সাগরদাঁড়ি ইউনিয়নে নাগরিক সনদে জাল সই দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) এক সদস্যের বিরুদ্ধে। প্রশাসকের সই নকল করে ওই সদস্য নিজেই সনদ ইস্যু করেছেন। ভুক্তভোগীর অভিযোগের পর ওই ইউপি সদস্যকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)। অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম আসাদুজ্জামান শিমুল। তিনি সাগরদাঁড়ি ইউপির ১ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য। ভুক্তভোগী জুয়েলের ভাষ্য, তিনি সাগরদাঁড়ি ইউনিয়নের বাঁশবাড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা। নাগরিক সনদ নেওয়ার জন্য ২০ অক্টোবর ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসকের কাছে একটি লিখিত আবেদন করেন। দ্রুত সনদটি পাওয়ার জন্য তিনি ইউপি সদস্য আসাদুজ্জামান শিমুলের কাছে যান। প্রশাসকের সই লাগবে না জানিয়ে ওই সনদে জাল সই করেন আসাদুজ্জামান শিমুল। সইয়ের নিচে প্রশাসকের নাম ও পূর্ণ পদবি লেখা আছে। ওই সনদ বাড়িতে নেওয়ার পর জুয়েলের স্ত্রী মুসলিমার সন্দেহ হয়। তিনি সাগরদাঁড়ি ইউপির প্রশাসক ও উপজেলা প্রাথমিক রিসোর্স সেন্টারের ইনস্ট্রাক্টর সাইদুল হকের কাছে যান। সনদের জন্য মুসলিমাকে আবার আবেদন করার পরামর্শ দিয়ে ওই ইউপি সদস্যের সই করা সার্টিফিকেটটি রেখে দেন সাইদুল হক। পরে ইউপির প্রশাসক ও ইউএনওর কাছে জাল সই দেওয়ার বিষয়ে আসাদুজ্জামান শিমুলের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন মুসলিমা। মুসলিমার ভাষ্য, তাঁর স্বামী জুয়েল বিদেশে যাবেন। তাই একটি নাগরিক সনদের দরকার ছিল। প্রশাসকের কাছে সই না নিয়ে ওই ইউপি সদস্য নিজেই সই দিয়ে বলেন, এতেই কাজ হবে। এ বিষয়ে সাগরদাঁড়ি ইউপির প্রশাসক সাইদুল হক বলেন, প্রশাসক ব্যতীত কাউকে নাগরিক সনদ দেওয়ার কোনো আইনগত অধিকার কারও নেই। ওই ইউপি সদস্য জাল সই করে সার্টিফিকেট দিয়েছেন, এটি বেআইনি হয়েছে। এর আগে তিনি আরও অনেককেই এমন জাল সই দিয়ে সার্টিফিকেট দিয়েছেন।
এ বিষয়ে কারণ দর্শানোর নোটিশ পাওয়ার সত্যতা স্বীকার করেছেন আসাদুজ্জামান শিমুল। তিনি বলেন, জুয়েল নামের ওই ব্যক্তিকে নাগরিক সনদ দেওয়াটা ভুল হয়েছে। শিগগিরই তিনি নোটিশের জবাব দেবেন। লিখিত জবাব পাওয়ার পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়ে কেশবপুরের ইউএনও রেকসোনা খাতুন বলেন, ওই ইউপি সদস্যকে সাত দিনের মধ্যে জবাব দিতে বলা হয়েছে।

