প্রতিদিনের ডেস্ক
মাইক্রোসফটের বিরুদ্ধে মামলা করেছে অস্ট্রেলিয়ার প্রতিযোগিতা নিয়ন্ত্রক সংস্থা অস্ট্রেলিয়ান কম্পিটিশন অ্যান্ড কনজিউমার কমিশন (এসিসিসি)।
মাইক্রোসফটের বিরুদ্ধে মামলা করেছে অস্ট্রেলিয়ার প্রতিযোগিতা নিয়ন্ত্রক সংস্থা অস্ট্রেলিয়ান কম্পিটিশন অ্যান্ড কনজিউমার কমিশন (এসিসিসি)। তাদের অভিযোগ, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) টুল ‘কোপাইলট’ যুক্ত করার পর কোম্পানিটি মাইক্রোসফট ৩৬৫ সফটওয়্যারের দাম বাড়িয়ে গ্রাহকদের বিভ্রান্ত করেছে। খবর রয়টার্স।এসিসিসির অভিযোগ অনুযায়ী, ২০২৪ সালের অক্টোবর থেকে প্রযুক্তি জায়ান্টটি প্রায় ২৭ লাখ গ্রাহককে ভুল ধারণা দিয়েছে। এক্ষেত্রে কোম্পানিটি জানিয়েছে, যেখানে কোপাইলট যুক্ত আছে সেখানে গ্রাহকদের নতুন সাবস্ক্রিপশন নিতে হবে। এসব প্যাকেজের দাম আগের তুলনায় বেশি। ফলে অনেক গ্রাহক বাধ্য হয়ে উচ্চমূল্যের পার্সোনাল ও ফ্যামিলি প্ল্যানের সাবস্ক্রিপশন নেন।
কোপাইলট যুক্ত হওয়ার পর পার্সোনাল প্ল্যানের বার্ষিক সাবস্ক্রিপশন মূল্য ৪৫ শতাংশ বেড়ে দাঁড়ায় ১৫৯ অস্ট্রেলিয়ান ডলারে (প্রায় ১০৩ ডলার)। ফ্যামিলি প্ল্যানের দাম বেড়ে ১৭৯ অস্ট্রেলিয়ান ডলার হয়, যা আগের তুলনায় ২৯ শতাংশ বেশি। তবে এসিসিসির অভিযোগ, কোপাইলট ব্যতীত আগের সাশ্রয়ী মূল্যের ক্ল্যাসিক প্ল্যান এখনো চালু থাকার বিষয়টি গ্রাহকদের স্পষ্টভাবে জানায়নি মাইক্রোসফট।
নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি জানিয়েছে, ওই বিকল্প প্যাকেজের তথ্য কেবল তখনই দেখা যেত, যখন গ্রাহকরা সাবস্ক্রিপশন বাতিলের প্রক্রিয়া শুরু করতেন। এটি ভোক্তা আইন লঙ্ঘনের শামিল। কারণ এতে প্রকৃত বিকল্প সম্পর্কে বিভ্রান্তি তৈরি হয়। তাছাড়া মাইক্রোসফটের পাঠানো ই-মেইল ও ব্লগপোস্টে শুধু মূল্যবৃদ্ধির তথ্য ছিল, সেখানে কম দামের প্ল্যানের কোনো উল্লেখ ছিল না।মাইক্রোসফটের এক মুখপাত্র বলেছেন, ‘আমরা এসিসিসির অভিযোগ বিস্তারিতভাবে পর্যালোচনা করছি।’এসিসিসি জানিয়েছে, অস্ট্রেলিয়ার ভোক্তা আইন অনুযায়ী প্রতিটি লঙ্ঘনের জন্য আদালত চাইলে সর্বোচ্চ ৫ কোটি অস্ট্রেলিয়ান ডলার জরিমানা করতে পারে। যদি লঙ্ঘনের ফলে কোম্পানিটি কতটা আর্থিক সুবিধা পেয়েছে তা নির্ধারণ করা না যায়, তাহলে জরিমানার পরিমাণ নির্ধারণ হবে কোম্পানির মোট আয়ের (টার্নওভার) ৩০ শতাংশ পর্যন্ত।সংস্থাটি আরো জানিয়েছে, ‘এ ঘটনায় কী ধরনের শাস্তি প্রযোজ্য হবে, তা আদালত নির্ধারণ করবে। কমিশন এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করবে না।’

