বেনাপোল প্রতিনিধি
বেনাপোল সম্যক সমবুদ্ধের প্রশংসিত বৌদ্ধদের শ্রেষ্ঠতম ধর্মীয় উৎসব দানোৎসব-২০২৫,শুভ কঠিন চিবর উদযাপিত হয়েছে। বুধবার(২৯ অক্টোবর) সকাল থেকে এ উৎসব উদযাপিত হয় বেনাপোল গাজীপুর “স্বপন বড়ুয়া চৌধুরী বৌদ্ধ বিহারে। এ উপলে সকাল সাড়ে ৮ টার দিকে “স্বপন বড়ুয়া চৌধুরী বৌদ্ধ বিহারের দায়ক-দায়িকাদের সমন্বয়ে একটি আনন্দ র্যালি বের করা হয়। বাদ্য যন্ত্রের তালে তালে র্যালি টি বেনাপোলের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদনি করে।
“স্বপন বড়ুয়া চৌধুরী বৌদ্ধ বিহারের দায়ক-দায়িকাবৃন্দের আয়োজনে অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যশোর জেলার পুলিশ সুপার রওনক জাহান। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন- ভদন্ত বোধিমিত্র মহাস্থবির, আবাসিক প্রধান, বোধিজ্ঞান ভাবনা কেন্দ্র ও বৌদ্ধ বিহার, আশুলিয়া, ঢাকা। অনুষ্ঠানটিতে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, উদ্বোধক-ভদন্ত শীল রতি ভিু, অধ্য, স্বপন বড়ুয়া চৌধুরী বৌদ্ধ বিহার, বেনাপোল। প্রধান ধর্মদেশক – ভদন্ত ড. অরুন জ্যোতি মহাথের, সভাপতি, টালিগজ্ঞ ম্যুর এভিনিউ বুদ্ধ সমিতি, কোলকাতা। মুখ্য আলোচক- ভদন্ত মেত্তাবিহারী ভিু, উপ-বিহারাধ্য, বায়েজিদ থানা কেন্দ্রীয় শাভিকুঞ্জ বৌদ্ধ বিহার, চট্টগ্রাম। বিশেষ অতিথি বর্গের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার ডা. কাজী নাজিব হাসান, শার্শা সহকারী কমিশনার (ভুমি) নিয়াজ মাখদুম, বেনাপোল ইমিগ্রেশন ওসি এস এম শাখাওয়াত হোসেন বেনাপোল পোর্ট থানার উপ-পরিদর্শক মানিক কুমার সাহা, বেনাপোল প্রেসক্লাবের সাধারন সম্পাদক বকুল মাহবুব প্রমুখভ প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, “সিদ্ধার্থ গৌতম” বৌদ্ধ ধর্মের ঐতিহাসিক প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন। তিনি শাক্য রাজবংশের এক ত্রিয়-ব্রাহ্মণ পরিবারে রাজপুত্র হয়ে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর জন্ম ও মৃত্যুর সময়কাল নিয়ে এখনও অনেক ইতিহাস বিদদের মধ্যে মতবিরোধ রয়েছে। কিন্তু অধিকাংশ ইতিহাসবিদ গন এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছেনই যে, ৪০০ খৃষ্টপূর্বের কিছু দশক আগে বুদ্ধ মারা গিয়েছিলেন। তাঁর শাক্য-ত্রিয় বংশের পরিবারগণ ব্রাহ্মণ গোত্রের ছিল, যা তাঁর পরিবার কর্তৃক প্রদানকৃত নাম “গৌতম” দ্বারা নির্দেশিত। বুদ্ধ তাঁর অবশিষ্ট জীবনের বছরগুলোতে ভারতের উত্তরাঞ্চল ও অন্যান্য গাঙ্গেয় সমভূমি অঞ্চলগুলোতে পরিভ্রমণ করেন । বুদ্ধ কুশীনগরের পরিত্যক্ত এক জঙ্গলে দেহত্যাগ বা মহাপরিনির্বাণ লাভ করেন। মারা যাওয়ার পূর্বে বুদ্ধ তাঁর শিষ্যদের বলে গিয়েছিলেন যে, তাঁর প্রচার করা ধর্মীয়দেশনাই হবে তাদের শাস্তা যা তাদের দিক-নির্দেশনা প্রদানে সহায়তা করবে। বুদ্ধের মহাপরিনির্বাণের পর হতে বুদ্ধবাণীকে সংরণের জন্য শত শত অরহত পণ্ডিত ভিু তিনটি সঙ্গায়নের মাধ্যমে পূর্ণাঙ্গ ত্রিপিটক সংকলিত হয়েছে।

