১৫ই কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ  । ৩১শে অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ 

ঐকমত্য কমিশন জাতির সঙ্গে প্রতারণা করেছে : মির্জা ফখরুল

প্রতিদিনের ডেস্ক
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, দীর্ঘ এক বছরের আলোচনার পরও জাতীয় ঐকমত্য কমিশন ও সরকারের প্রস্তাব একপেশে, জবরদস্তিমূলক ও জাতির সঙ্গে প্রতারণার শামিল।বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, সংস্কার কমিশন ও ঐকমত্য কমিশনের আলোচনাগুলোকে অর্থহীন ও প্রহসনমূলক করে তোলা হয়েছে। সরকারের প্রস্তাবিত বাস্তবায়ন আদেশ গণতন্ত্র, সংসদীয় সার্বভৌমত্ব ও আইনের শাসনের পরিপন্থী।বিএনপির লক্ষ্য ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতি, লাখো নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি
মির্জা ফখরুল বলেন, বিএনপি ও অন্যান্য রাজনৈতিক দলের সঙ্গে ঐকমত্যের ভিত্তিতে প্রণীত ‘জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫’-এর চূড়ান্ত কপিতে কিছু দফায় অগোচরে সংশোধন আনা হয়েছে। শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি সরকারি-বেসরকারি অফিসে টানানোর বিধান বিলুপ্তির বিষয়ে প্রায় সব দল একমত হলেও তা সনদে রাখা হয়নি। একইভাবে সংবিধানের ১৫০(২) অনুচ্ছেদের (পঞ্চম, ষষ্ঠ, সপ্তম তফসিল) বিলুপ্তির প্রস্তাবও বাদ দেওয়া হয়েছে।তিনি বলেন, জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় আমরা ঐতিহাসিক অনুষ্ঠানে সনদের অঙ্গীকারনামায় স্বাক্ষর করেছিলাম। কিন্তু চূড়ান্ত কপি আমাদের সামনে আনা হয়নি।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, সরকার ‘জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ ২০২৫’ নামে একটি আদেশ জারি করতে চায়, যা সরকারের এখতিয়ারের বাইরে। সংবিধানের ১৫২ অনুচ্ছেদ অনুসারে ‘আদেশ’ আইনের মর্যাদাসম্পন্ন; সেটি জারি করা কেবল রাষ্ট্রপতির এখতিয়ার। সরকার এভাবে আদেশ জারি করলে তা অসাংবিধানিক হবে।ফখরুল বলেন, ঐকমত্য কমিশনের সুপারিশে ৪৮টি দফা গণভোটে তোলার প্রস্তাব করা হয়েছে, কিন্তু সেখানে রাজনৈতিক দলগুলোর ভিন্নমত ও নোট অব ডিসেন্ট অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। এতে প্রমাণ হয়, এক বছরের আলোচনার সব প্রচেষ্টা অর্থহীন ছিল- এটা জাতির সঙ্গে প্রতারণা ছাড়া কিছুই নয়।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান, হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, সালাহউদ্দিন আহমদ, নজরুল ইসলাম খান প্রমুখ।

আরো দেখুন

Advertisment

জনপ্রিয়