প্রতিদিনের ডেস্ক
ইস্তাম্বুলে ফের আফগানিস্তান এবং পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধবিরতির আলোচনা শুরু হচ্ছে। দুদেশের প্রতিনিধিরা বৃহস্পতিবার পুনরায় যুদ্ধবিরতি আলোচনায় অংশ নিচ্ছেন। নতুন করে যেকোনো ধরনের সংঘাত এড়ানোর লক্ষ্যেই দুপক্ষের মধ্যে আলোচনা শুরু হচ্ছে। খবর এএফপির।
গত কয়েক বছরে প্রতিবেশী দেশগুলোর মধ্যে সম্পর্কের অবনতি ঘটেছে। ইসলামাবাদ কাবুলকে পাকিস্তানে হামলা চালানো জঙ্গি গোষ্ঠীকে আশ্রয় দেওয়ার অভিযোগ করেছে, যা আফগানিস্তানের তালেবান কর্তৃপক্ষ অস্বীকার করেছে।
গত ৯ অক্টোবর আফগানিস্তানের রাজধানীতে বিস্ফোরণের পর সর্বশেষ সংঘাত শুরু হয়, যার জন্য তালেবান সরকার পাকিস্তানকে দায়ী করে আসছে। এরপরেই দুদেশের মধ্যে সংঘাত শুরু হয়।এই সংঘাতে বেসামরিক নাগরিকসহ ৭০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত এবং আরও শতাধিক মানুষ আহত হয়।
দুদেশের মধ্যে ২ হাজার ৬০০ কিলোমিটার (১৬০০ মাইল) সীমান্ত রয়েছে। এর আগে গত ১৯ অক্টোবর তুরস্ক ও কাতারের মধ্যস্থতায় একটি যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয় দুদেশ।গত সপ্তাহের আলোচনার শেষে আয়োজক তুরস্ক বলেছিল যে শান্তি বজায় রাখার জন্য এবং লঙ্ঘনকারীদের শাস্তি দেওয়ার জন্য পক্ষগুলো একটি ‘পর্যবেক্ষণ ও যাচাইকরণ ব্যবস্থা’ প্রতিষ্ঠা করতে সম্মত হয়েছে।আলোচকরা এখন সেই ব্যবস্থার বিশদ এবং যুদ্ধবিরতি বাস্তবায়ন সম্পর্কিত অন্যান্য বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
ইসলামাবাদ জোর দিয়ে বলেছে যে, কাবুলকে অবশ্যই পাকিস্তানি তালেবান এবং অন্যান্য জঙ্গি গোষ্ঠীগুলোকে আশ্রয় প্রদান বন্ধ করতে হবে। এসব গোষ্ঠী আফগানিস্তানের ভূখণ্ড ব্যবহার করে আক্রমণের পরিকল্পনা করে।
আফগান কর্মকর্তারা এই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছেন এবং পাকিস্তান নিয়মিত হামলার মাধ্যমে আফগানিস্তানের সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘন করছে বলে অভিযোগ করেছেন। সংঘাতের পর দুই দেশের সীমান্ত কয়েক সপ্তাহ ধরে বন্ধ রয়েছে। ফলে উভয় দেশের ব্যবসায়ীদের উল্লেখযোগ্য অর্থনৈতিক ক্ষতির মুখে পড়তে হয়েছে।
টিটিএন

