১৫ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ  । ৩০শে নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ 

দৌলতপুরে যুবককে কুপিয়ে হত্যা মামলায় গ্রেফতার ২

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি
কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে মাদক সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে জনি ইসলাম (৩০) নামে এক যুবককে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এ হত্যা মামলার এজাহারনামীয় দুই আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শনিবার (২৯ নভেম্বর) দুপুর দেড়টার দিকে উপজেলার প্রাগপুর ইউনিয়নের মহিষকুন্ডি মাঠপাড়া সীমান্ত এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত জনি একই ইউনিয়নের জামালপুর গ্রামের জাকির হোসেনের ছেলে ও সীমান্ত এলাকার মাদক কারবারি হিসেবে পরিচিত। তার বিরুদ্ধে হত্যা ও মাদকের মামলা রয়েছে। পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, জনি দীর্ঘদিন ধরে মাদক কারবারের সাথে জড়িত। দৌলতপুরের চাঞ্চল্যকর মোহন হত্যার প্রধান আসামি তিনি। জামালপুর সীমান্ত এলাকায় চিহ্নিত মাদক ও অস্ত্র চোরাকারবারি নাজিমুদ্দিনের ছেলে সোহান ও আমিরুল ইসলাম সুমনের সাথে ঘনিষ্ঠ সখ্যতা ছিল জনির। মাদক বিক্রির টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র করে তাদের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। এরই জের ধরে শনিবার দুপুরে জনি নিজ বাড়ি জামালপুর গ্রামে যাওয়ার পথে সোহান ও সুমনের নেতৃত্বে ৩০-৩৫ জন দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে তার ওপর হামলা চালায়। এ সময় জনিকে হাঁসুয়া দিয়ে নৃশংসভাবে কুপিয়ে ও পায়ের রগ কেটে হত্যা নিশ্চিত করে মহিষকুন্ডি মাঠপাড়া গ্রামের কবরস্থান সংলগ্ন মাঠের মধ্যে ফেলে দেয় হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। এলাকাবাসী জনির মরনদেহ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশকে সংবাদ দেয়। পুলিশ নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নেয়। স্থানীয়রা জানান, জনি দীর্ঘদিন ধরে মাদক ও অস্ত্র চোরাকারবারের সাথে জড়িত। তিনি ভারতে পালিয়েও ছিলেন অনেকদিন। গত বছর জনির নেতৃত্বে সীমান্ত এলাকায় মোহন নামে এক যুবককে হত্যা করা হয়। ওই মামলার তিনি প্রধান আসামি। সীমান্তে নানা অপরাধের সাথেও জড়িত ছিলেন জনি। কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে জনি ইসলাম হত্যা মামলার এজাহারনামীয় দুই আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শনিবার (২৯ নভেম্বর) দিবাগত রাতে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। নিহতের পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, শনিবার দুপুরে উপজেলার প্রাগপুর ইউনিয়নের মহিষকুন্ডি মাঠপাড়া এলাকায় জনির ওপর হামলা চালায় সন্ত্রাসীরা। এ সময় ধারালো অস্ত্র দিয়ে তার দুই পায়ের রগ কেটে দেওয়া হয়। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে। পল্লবীতে যুবদল নেতা হত্যার ঘটনায় আটক মোক্তারের মৃত্যুর বিষয়ে যা জানালো পুলিশ এ ঘটনায় নিহতের মা বাদী হয়ে ২৬ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরো ১৫-২০ জনকে আসামি করে দৌলতপুর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। জনি মহিষকুন্ডি জামালপুর গ্রামের মৃত জাকির হোসেনের ছেলে। দৌলতপুর থানার ওসি সোলাইমান শেখ বলেন, ‘‘মামলা দায়েরের পরপরই পুলিশ অভিযান চালিয়ে এজাহারনামীয় দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে। বাকিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।’’ দৌলতপুর থানা পুলিশের ওসি সোলায়মান শেখ আরও বলেন, জনি একজন কুখ্যাত মাদক কারবারি। তার বিরুদ্ধে হত্যা ও মাদকসহ অর্ধ ডজন মামলা রয়েছে। মাদক ও হত্যা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষের লোকজন এ ঘটনা ঘটিয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। বর্তমানে আমরা হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের ধরতে অভিযান পরিচালনা করছি।

 

আরো দেখুন

Advertisment

জনপ্রিয়