নিজস্ব প্রতিবেদক
যশোরের নতুন খয়েরতলায় নুরি খাতুন নামে ১৪ বছরের এক কিশোরীর নিজ শয়নকক্ষ থেকে ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার হয়েছে। সে ৮ম শ্রেণির ছাত্রী ছিল। বলা হচ্ছে মোবাইল ফোন দেখা নিয়ে বাবা-মা বকা-ঝকা করায় অভিমান করে সে আত্মহননের পথ বেছে নিয়েছে। যদিও এই মৃত্যু নিয়ে ধোঁয়াশার সৃষ্টি হয়েছে। তবে ময়না তদন্ত রিপোর্ট না পাওয়া পর্যন্ত প্রকৃত কারণ জানা যাচ্ছে না। সোমবার (১ ডিসেম্বর) বিকেল পৌনে ৫টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। সে এলাকার রনি ইসলামের মেয়ে। তার মৃত্যুতে আর্তনাদ ও আহাজারীতে হাসপাতালের পরিবেশ ভারী হয়ে উঠেছে। পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, ঘটনার কিছুক্ষণ আগে নুরি মোবাইল ফোন ব্যবহার নিয়ে বাবা–মায়ের কাছ থেকে বকাঝকা শোনে। স্বাভাবিক মতোই বকুনি শেষ হলে সবাই ভেবেছিল সে হয়তো কিছুক্ষণ পর শান্ত হয়ে যাবে। কিন্তু অভিমানী কিশোরীর মনোজগতে যে সিদ্ধান্ত ঘূর্ণি তোলে, তা কেউই আঁচ করতে পারেনি। অভিমান ও ক্ষোভে সে নিজের শয়নকক্ষে চলে যায়। পরে পরিবারের কেউ ডাকাডাকি করলে সাড়া না পেয়ে সন্দেহ হয়। দরজা খুলে দেখেন—নুরি ওড়না দিয়ে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে গলায় ফাঁস দিয়েছে। পরিবারের সদস্যদের চিৎকার–চেঁচামেচিতে বাড়ি-প্রতিবেশী ছুটে আসে। দ্রুত তাকে ঝুলন্ত অবস্থা থেকে নামিয়ে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর নুরিকে মৃত ঘোষণা করেন। মর্মান্তিক এই ঘটনায় পরিবার পুরোপুরি ভেঙে পড়েছে। প্রতিবেশীরা জানান, নুরি খুব শান্ত ও ভদ্র স্বভাবের মেয়ে ছিল। পড়াশোনায়ও মনোযোগী ছিল। সামান্য বকাঝকায় সে যে এত বড় সিদ্ধান্ত নেবে—তা কেউই কল্পনা করতে পারিনি। এ বিষয়ে যশোর কোতোয়ালি মডেল থানার পুলিশ জানিয়েছে, প্রাথমিকভাবে ঘটনাটি আত্মহত্যাজনিত অপমৃত্যু বলেই মনে হচ্ছে। আইনি প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পাওয়ার পর প্রকৃত কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যাবে।

