১৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ  । ৩রা ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ 

শ্যামনগরে পৃথক অভিযানে ১ হাজার ৬শ কেজি শামুক-ঝিনুক উদ্ধার, আটক-১

উৎপল মণ্ডল, শ্যামবগর
সাতক্ষীরার শ্যামনগরে বনবিভাগের বিশেষ অভিযানে প্রায় ১ হাজার ৬০০ কেজি শামুক ও ঝিনুক উদ্ধার করা হয়েছে। উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। বনবিভাগের দাবি- বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইন লঙ্ঘন করে দীর্ঘদিন ধরেই অসাধু ব্যবসায়ীরা এসব সামগ্রী সংগ্রহ ও পাচার করে আসছিল। ৩ ডিসেম্বর (বুধবার)) সকাল রেঞ্জ কর্মকর্তা মোহাম্মদ ফজলুল হক সহ বুড়িগোয়ালিনী স্টাফ, সি.পি.জি সদস্যদের উপস্থিতিতে বনের শামুক, ঝিনুক নদীতে অবমুক্ত করা হয়।সাতক্ষীরা রেঞ্জ অফিস সুত্রে জানা যায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ২রা ডিসেম্বর মঙ্গলবার বিকালে উপজেলার পদ্মপুকুর ইউনিয়নের পাতাখালী লঞ্চ ঘাট থেকে ৭৫ বস্তা (০১ হাজার কেজি) ঝিনুক-শামুক উদ্ধার করা হয়। এ সময় পাতাখালী গ্রামের মৃত মাজেদ সরদারের ছেলে কওছার গাজী (৪৮) ট্রলার ড্রাইভারকে আটক করা হয়। এবং একই দিন রাত সাড়ে ১০টার সময় বুড়িগোয়ালিনী ফরেস্ট স্টেশনের অধীন মহসিনের হুলো থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় ৮ বস্তা (৬০০ কেজি) শামুক-ঝিনুক উদ্ধার করা হয়।সাতক্ষীরা রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক মোঃ ফজলুল হক জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে বস্তাভর্তি শামুক–ঝিনুক উদ্ধার করা হয়। এগুলো সংগ্রহ করে বাইরে পাচারের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে। অভিযানের সময় একজনকে আটক করে আদলতে প্রেরণ করা হয়েছে। এবং উদ্ধারকৃত শামুক-ঝিনুক সুন্দরবনের নদীতে অবমুক্ত করা হয়েছে। তিনি আরও জানান, জলজ প্রাণীর এভাবে নির্বিচারে আহরণ পরিবেশের জন্য মারাত্মক হুমকি। বিশেষ করে সুন্দরবনের আশপাশের নদী–খালে অতিরিক্ত শামুক–ঝিনুক সংগ্রহ সামুদ্রিক বাস্তুতন্ত্রের ভারসাম্য নষ্ট করছে। বন্যপ্রাণী( সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা), আইন ২০১২ অনুযায়ী তফসিল ২ এ বর্ণিত শামুক ও ঝিনুক ধরা, পরিবহন করা, ব্যবসা করা নিষিদ্ধ। উল্লেখ্য, গত ২৭শে নভেম্বর রাতে উপজেলার মুন্সিগঞ্জের হাজির মোড় থেকে ৮৬০ কেজি শামুক উদ্বার এবং ৭ সেপ্টেম্বর ৬৯০কেজি শামুক উদ্বার করে সুন্দরবনের নদীতে অবমুক্ত করা হয়।

আরো দেখুন

Advertisment

জনপ্রিয়