নিজস্ব প্রতিবেদক
যশোর শহরতলীর শেখহাটি আদর্শ পাড়া থেকে ডাকাতির প্রস্তুতি মামলায় গাড়িচালক সুলতান মুন্সির ২ দিনের রিমান্ড ও পারুল খাতুনকে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ দিয়েছে আদালত। বৃহস্পতিবার সিনিয়র জুডিসয়িাল ম্যাজিস্ট্রেট রহতম আলী আসামিদের রিমান্ড আবেদনের শুনানি শেষে এ আদেশ দিয়েছেন। আসামিরা হলো, শহরতলীর শেখহাটি আদর্শ পাড়ার প্রফেসর সাঈদের বাড়িতে ভাড়াটিয়া কামরুল ইসলামের স্ত্রী পারুল খাতুন ও ঝালকাঠির কাঠালিয়ার সোনাউটা গ্রামের আলম মুন্সির ছেলে প্রাইভেটকার (ঢাকা মেট্টো-গ-২৯-৬৬২৭) চালক সুলতান মুন্সী। মামলার অভিযোগে জানা গেছে, গত ১১ এপ্রিল বিকেলে কোতয়ালি থানা পুলিশ শেখহাটি আদর্শপাড়ার প্রফেসর সাঈদের বাড়ির নিচতলার ভাড়া বাসায় অভিযান চালায়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে কামরুল, পিচ্চি রাজাসহ ৪/৫জন পালিয়ে যায়। পুলিশ এসময় ভাড়াটিয় কামরুলের স্ত্রী পারুল ও প্রাইভেটকার চালক সুলতান মুন্সিকে আটক করে। তাদের স্বীকারোক্তিতে বাড়ি তল্লাশি করে বিভিন্ন গাড়ির কয়েকটি নেমপ্লেট, দুইটি দা, একটি হাসুয়া, একটি কালো স্কুল ব্যাগ, একটি হ্যান্ড ব্যাগ, দুটি শাবল, একটি হাইড্রোলিক কার্টার মেশিন, একটি কার্টার প্লাস, দুইটি সেলাই রেঞ্জ, দুটি ইলেক্ট্রিক টেস্টার, দুটি ছোট টর্চ লাই, দুইটি ক্যানন ক্যামেরা, ৪টি বিভিন্ন আকৃতির স্ক্রু ড্রাইভার, একটি চাবির গোছা, দুইটি এনআইডি কার্ড উদ্ধার করা হয়। কামরুল ও তার সহযোগীরা বিভিন্ন জায়গায় ডাকাতি করে বেড়াতো বলে পুলিশ নিশ্চিত হয়। এ ঘটনায় আটক দুইজনসহ ৪ জনের নামউল্লেখ করে ডাকাতির প্রস্তুতির অভিযোগে কোতয়ালি থানায় মামলা করেন এসআই মিনারা আলম। মামলার তদন্তকারী কর্মর্তা এসআই আব্দুস সবুর আটক দুজনকে আদালতে সোপর্দ ও প্রত্যেকের ৭ দিন করে রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন। গতকাল বৃহস্পতিবার আসামিদের রিমান্ড আবেদনের শুনানি শেষে সুলতান মুন্সির ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর ও অপর আসামিকে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ দিয়েছেন বিচারক।

