১৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ  । ৩রা ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ 

কালবৈশাখী ঝড়ের কবলে ইত্যাদি সন্ধ্যার শুটিং শেষ হলো মধ্যরাতে

মহেশপুর সংবাদদাতা
হঠাৎ কালবৈশাখী ঝড়ে পূর্ব নির্ধারিত সময়ে শুটিং করতে পারেনি ইত্যাদি কর্তৃপক্ষ। শনিবার (১৭ মে) সন্ধ্যা থেকে কালবৈশাখী ঝড় ও বৃষ্টি হওয়ায় নির্দিষ্ট সময়ে ইত্যাদির এবারের পর্ব ধারণ বাধাগ্রস্ত হয়। পরে ইত্যাদি কর্তৃপক্ষ শুটিং রাত ১২টায় শুরু করে রাত সাড়ে ৩টায় শেষ করেছে। তবে রাত গভীর হলেও দর্শক সমাগম ছিল চোখে পড়ার মতো। ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর উপজেলার এশিয়া মহাদেশের বৃহত্তম কৃষি খামার দত্তনগর বীজ উৎপাদন খামারে এবারের পর্ব ধারণ করা হয়। দেখা যায়, দুপুর থেকে মহেশপুর উপজেলার দত্তনগর কৃষি ফার্মের ঐতিহাসিক কুশাডাঙ্গা বটতলা প্রাঙ্গণে দর্শক আসতে থাকে। বিকেল ৪টায় দর্শকদের উপচে পড়া ভিড় দেখা যায়। সন্ধ্যা ৬টায় অনুষ্ঠান শুরু করার কথা থাকলেও নির্ধারিত সময়ে অনুষ্ঠান শুরু করতে পারেনি কর্তৃপক্ষ। পরে বৃষ্টির কারণে সাময়িকভাবে অনুষ্ঠান বন্ধ ছিল। পরবর্তী সময়ে আবহাওয়া স্বাভাবিক হলে রাত ১২টার দিকে অনুষ্ঠান শুরু করা হয়। এই দীর্ঘ সময় পর্যন্ত ইত্যাদি দেখতে অধির আগ্রহে অপেক্ষা ছিলেন স্থানীয়রা। জানা যায়, গ্রামীণ সৌন্দর্য, ইতিহাস আর সংস্কৃতির ছোঁয়া নিয়ে এবারের ইত্যাদি সাজানো হয়েছে। সীমান্তবাসীদের জীবনগাঁথা, বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমানের পৈত্রিক ভিটা, এশিয়ার সর্ববৃহৎ বটবৃক্ষ বেথুলি বটগাছ ও জেলায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা বাওড়ের গল্প জায়গা পেয়েছে এবারের ইত্যাদির পর্বে। মহেশপুরের স্থানীয় সেলিম রেজা ঢাকা পোস্টকে বলেন, অনেক আগ্রহ নিয়ে ইত্যাদির শুটিং দেখতে গিয়েছিলাম। নারী-পুরুষসহ বাচ্চারাও গিয়েছিল। বিকেল ৪টা থেকে অনুষ্ঠান এলাকায় দর্শকে ভরে যায়। কিন্তু সন্ধ্যা ৬টার অনুষ্ঠান ৯টাও শুরু করা হয়নি। যে সব দর্শকরা ইত্যাদির অনুষ্ঠান দেখতে গিয়েছিল সবাই খুব বিরক্ত হয়ে গিয়েছিল। এরই মাঝে ঝড়ো বাতাস এবং বৃষ্টি হয়। যার কারণে ইত্যাদির শুটিং না দেখেই বৃষ্টিতে ভিজতে ভিজতে বাড়ি চলে আসছি। মহেশপুর উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক জিয়াউর রহমান ঢাকা পোস্টকে বলেন, ইত্যাদির শুটিং অনুষ্ঠান সন্ধ্যা ৬টায় শুরু হওয়ার কথা থাকলেও বৃষ্টির কারণে তা করতে পারেনি কর্তৃপক্ষ। এসময় বৃষ্টির কারণে উপস্থিত কিছু দর্শক চলে যায়। পরে যখন রাত ১২টার দিকে শুটিং শুরু হয়। এসময়ও দর্শকরা কানায় কানায় পরিপূর্ণ ছিল। মহেশপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খাদিজা আক্তার ঢাকা পোস্টকে বলেন, ইত্যাদি আয়োজনে সার্বিক প্রস্তুতি আগে থেকে সম্পন্ন হলেও বৃষ্টির কারণে নির্ধারিত সময়ে অনুষ্ঠান শুরু করতে পারেনি কর্তৃপক্ষ। পরে আবহাওয়া স্বাভাবিক হলে রাতে অনুষ্ঠান শুরু হয়। রাত ১২টা থেকে শুরু করে রাত ৩টার পর শেষ হয়। অনুষ্ঠানে দর্শক সমাগম ভালোই ছিল। উল্লেখ্য, বাংলাদেশ টেলিভিশনের শিক্ষা-তথ্য ও বিনোদনমূলক ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ইত্যাদি’র এবারের পর্ব ধারণ করা হচ্ছে ঝিনাইদহে। ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর উপজেলায় অবস্থিত এশিয়া মহাদেশের বৃহত্তম কৃষি খামার দত্তনগর বীজ উৎপাদন খামারে এবারের পর্ব ধারণ করা হয়েছে। সাজানো হয় দত্তনগর কৃষি ফার্মের ঐতিহাসিক কুশাডাঙ্গা বটতলা প্রাঙ্গণ।

আরো দেখুন

Advertisment

জনপ্রিয়