রেজাউল করিম, লোহাগড়া
নড়াইলের লোহাগড়ায় সালমা আক্তার (৩০) নামে এক গৃহবধুকে শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে তার স্বামীর বিরুদ্ধে। ঘটনার পর স্বামী শহিদুল পলাতক রয়েছে। শহিদুল উপজেলার ডহরপাড়া গ্রামের সালাম মোল্যার ছেলে এবং সালমা আক্তার গাছবাড়িয়া গ্রামের সাইদুর রহমানের মেয়ে। নিহতের পরিবারের দাবি পারিবারিক ও দাপ্তত্য কলহের কারনে সালমাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে স্বামী পালিয়ে গেছে। নিহতের স্বজরা জানায়, শহিদুলের সাথে দীর্ঘদিন ধরে সালমার মোবাইলে প্রেমজ সম্পর্ক গড়ে ওঠে। শহীদুলের বাড়িতে স্ত্রী সন্তান থাকায় সালমাকে গোপনে বিয়ে করে। সালমা পিতার বাড়িতে পূর্বের পক্ষের একটি কন্যা সন্তান নিয়ে বসবাস করতো। শহীদুল সালমার বাড়িতে রাতের বেলায় গোপনে আসা-যাওয়া করতো। বিষয়টি শহিদুলের প্রথম স্ত্রী জানার পর পারিবারিক অশান্তিতে ভোগে শহীদুল। নিহত সালমার মা জাহানারা বলেন, আমার মেয়ের ঘরে শহিদুল বৃহস্পতিবার রাতে আসে এবং তাদের মধ্যে ঝগড়া বিবাদ হয়। রাতের বেলা মেয়েকে গলা টিপে হত্যা করে বাড়ির পাশে ফেলে রেখে শহিদুল পালিয়ে গেছে। শুক্রবার সকালে বাড়িতে সালমা ও শহিদুলকে না পেয়ে পরিবারের লোকজন তাদেরকে খোঁজা খুজি করতে থাকে। এক পর্যায়ে বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে সালমার বাবার বাড়ির ঘরের পাশে সালমার মরদেহ দেখতে পেয়ে স্থানীয় লোকজন পুলিশকে খবর দেয়। খবর পেয়ে লোহাগড়া থানা পুলিশ মরদেহটি উদ্ধার করে। এ বিষয়ে লোহাগড়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শরিফুল ইসলাম বলেন, মরদেহের গলায় আঘাতের চিহ্ন রয়ছে। ময়না তদন্তের জন্য মরদেহ নড়াইল সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

