নিজস্ব প্রতিবেদক
যশোরকে যেন সোনা পাচার সিণ্ডিকেটের নিরাপদ রুট হিসেবে বেছে নিয়েছে পাচার সিণ্ডিকেট। একের পর এক স্বর্ণচালান ও পাচারকারী আটক হলেও থামছে না চক্রটির অপতৎপরতা। যার প্রমাণ মিলেছে আজ শনিবার (৫ জুলাই) স্বর্ণের বড় একটি চালান ও পাচারে জড়িত দু’জনকে আটকের মধ্যদিয়ে। সচেতন মহল বলছেন-স্বর্ণের সব চালানই যে ধরা পড়ছে-তা নিশ্চিত করে কেউ বলতে পারবে না। এনিয়ে সবগুলো আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সমন্বিত কৌশল ও পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত। শনিবার বিজিবির অভিযানে সোনার ২৩টি বার জব্দ করা হয়েছে। এসব সোনার ওজন ৩ কেজির বেশি এবং মূল্য সাড়ে ৪ কোটি টাকার বেশি। এ ঘটনায় দুই পাচারকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা হলেন-শার্শা উপজেলার সালতা গ্রামের আরিফুল ইসলাম (৩০) ও চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার আব্দুল মালেকের ছেলে মো. মেহেদী হাসান (২৫)। এদিন (শনিবার) ভোরে সদরের মুরাদগড় বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এই অভিযান চালানো হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটককৃতরা স্বীকার করেছেন, তাঁরা ঢাকার সদরঘাট এলাকার চোরাকারবারিদের কাছে থেকে সোনার বারগুলো সংগ্রহ করে ভারতে পাচারের উদ্দেশে যশোর-মহেশপুর সীমান্তে যাচ্ছিলেন। যশোর ব্যাটালিয়নের (৪৯ বিজিবি) অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাইফুল্লাহ সিদ্দিকী জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মুরাদগড় বাসস্ট্যান্ড-সংলগ্ন রাস্তায় একটি টহল দল অভিযান চালায়। এ সময় দুই ব্যক্তিকে তল্লাশি করে তাঁদের কোমরে বিশেষভাবে লুকিয়ে রাখা ২৩টি সোনার বার জব্দ করা হয়। বারগুলোর ওজন ৩ কেজি ৯৫ গ্রাম। যার আনুমানিক বাজারমূল্য প্রায় ৪ কোটি ৫৭ লাখ টাকা। পরে দুজনের বিরুদ্ধে মামলা করে যশোর কোতোয়ালি থানায় হস্তান্তর করা হয়। সম্প্রতি যশোর শহরতলী ঝুমঝুমপুরে দুটি বাসে অভিযান চালিয়ে বিজিবি স্বর্ণের আরও দুটি চালান জব্দ করাসহ দু’জনকে আটক করে। এরবাইরেও সীমান্ত থেকে আরও অনেকগুলো স্বর্ণের চালান বিজিবি জব্দ করেছে। সমাজ সচেতন মহলের ধারণা, সব চালান ধরা পড়ছে না। আইন-শঙ্খলা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে অনেক সোনা পাচার হয়ে যাচ্ছে ভারতে। সম্প্রতি যশোরকে নিরাপদ রুট হিসেবেও ব্যবহার করা হচ্ছে বলে প্রতীয়মান হচ্ছে। সমন্বিত কৌশল ও পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত। তাছাড়া যারা আটক হচ্ছে, তাদের অধিকাংশই বহনকারী। মুলতঃ মূল হোতারা থেকে যাচ্ছে ধরা-ছোঁয়ার বাইরে।

