প্রতিদিনের ডেস্ক
ক্রিকেটে ৬ বলে এক ওভার পূর্ণ হয়, এটি সবাই জানেন। কিন্তু সাবেক ক্রিকেটারদের টুর্নামেন্ট ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়নশিপ অব লিজেন্ডসে অস্ট্রেলিয়ান পেসার জন হাস্টিংস ১৮টি বল করেও এক ওভার পূর্ণ করতে পারেননি।হাস্টিংস এক ওভারে করতে এসে দিয়েছেন ১২টি ওয়াইড, যা ক্রিকেট ইতিহাসে অন্যতম বাজে বোলিংয়ের রেকর্ড। হাস্টিংস ওয়াইড করতে করতেই জিতিয়ে দিয়েছেন প্রতিপক্ষ পাকিস্তানকে, শেষ করতে পারেননি ওভারও।
ইংল্যান্ডে চলমান এই টুর্নামেন্টে গতকাল মঙ্গলবার পাকিস্তান চ্যাম্পিয়ন্সের কাছে ১০ উইকেটের বিশাল ব্যবধানে হেরেছে অস্ট্রেলিয়া চ্যাম্পিয়ন। হাস্টিংসকে একের পর এক ওয়াইড করতে দেখে হতাশায় মুখ লুকিয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক ব্রেট লি।আগে ব্যাটিংয়ে নেমে অস্ট্রেলিয়া মাত্র ৭৪ রানে অলআউট হয়ে যায় ১১.৫ ওভারে। ছোট লক্ষ্য তাড়ায় বেশ ভালোভাবেই দলকে জয়ের দিকে নিয়ে যাচ্ছিলেন পাকিস্তানের দুই ওপেনার শোয়ের মাকসুদ ও শারজিল খান।ব্রেট লি অষ্টম ওভারে বল তুলে দেন হাস্টিংসের হাতে। এরপরই শুরু হয় দুর্দশা। শুধু অস্ট্রেলিয়া নয়, ব্যাটের নাগালে বল না পেয়ে দুর্দশা ভোগ করতে হয় শারজিল ও মাকুসদকেও। আর আম্পায়ার তো হাত প্রসারিত করতে করতে ক্লান্ত।
অস্ট্রেলিয়ার জার্সি গায়ে সব মিলিয়ে ৩৯টি ম্যাচ খেলা হেস্টিংস ওভার শুরু করেন টানা পাঁচটি অফসাইড ওয়াইড দিয়ে। এরপর দুটি বৈধ বল দেন- একটিতে এক রান, অন্যটি চার। এরপর দেন একটি নো বল, সেটিও ওয়াইড হতো।নো বলের ফ্রি হিট ছিলও একটি ওয়াইড। এরপর বোলিং অ্যাঙ্গেল পাল্টে বাঁহাতি শারজিল খানের বিপক্ষে রাউন্ড দ্য উইকেট থেকে বল করে একটি লেগ বাই দেন।
এরপর মাকসুদের বিপক্ষে আরও একটি ওয়াইড। তারপর দুটি বৈধ বল- একটি ডট বল (ব্যাটসম্যান কাট না করলে ওয়াইড হতো), অন্যটিতে সিঙ্গেল। তারপর আবার টানা পাঁচটি ওয়াইড। এর মধ্যে শেষ দুটি ছিল অফ সাইডে এতটাই বাইরে যে, পিচেরও বাইরে চলে যাচ্ছিল।
শেষ ওয়াইড থেকে জয়সূচক রান পায় পাকিস্তান। অর্থাৎ ৫টি বৈধ ডেলিভারির জন্য ১৮টি বল করতে হয়েছে হাস্টিংসকে। আর রান খরচ করেছেন ১৯। পাকিস্তান যদি জয় না পেত, তাহলে হাস্টিংসকে আরও কয়টা বল করতে হতো সৃষ্টিকর্তায় ভালো জানেন।শারজিল ৩২ ও মাকসুদ ২৮ রান তুলে দল জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন। বড় হারের পরও অস্ট্রেলিয়া সেমিফাইনালে উঠেছে। ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে অসিদের প্রতিপক্ষ দক্ষিণ আফ্রিকা।

