সোহেল আহমেদ, কালীগঞ্জ
বেগবতী নদীর উপর সেতু নির্মাণে নদীতে বিকল্প রাস্তা করায় ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার অন্তত ৫০ গ্রামের ফসলসহ ফসলের জমি পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। এতে ওসব গ্রামের কৃষকদের মধ্যে ক্ষোভ ও উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। বুধবার সকাল ১০টার সময় কোলা বাজার এলাকায় বেগবতী নদীর উপর নির্মাণাধীন ব্রিজের বিকল্প রাস্তা পরিদর্শন করেন কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার দেদারুল ইসলাম। এ সময় উপস্থিত ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দকে তিনি আশ্বস্ত করেন আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে বিকল্প রাস্তাটি প্রশস্ত ও উঁচু করে দিয়ে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ সময় কৃষক ও জনসাধারণের শান্ত করার জন্য বক্তব্য রাখেন জামাল ইউনিয়নের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ইউনিয়ন বিএনপি’র সভাপতি নজরুল ইসলাম মোল্লা, থানা যুবদলের সদস্য সচিব মাহবুবুর রহমান মিলন এবং বিএনপির নেতা সাবেক চেয়ারম্যান ইলিয়াস রহমান মিঠু। উল্লেখ্য সদর ও কালীগঞ্জ উপজেলার অন্তত ছোট-বড় ১০টি বিল ও খালের পানি আটকে গেছে বেগবতী নদীর বিকল্প রাস্তার কারণে । ফলে হাজার হাজার হেক্টর ধানী জমি সহ অন্যান্য ফসল পানিতে ডুবে গেছে। বেগবতী নদীতে ব্রিজ তৈরিতে বিকল্প রাস্তাটি ছোট করে ডাইবারশন রাস্তা তৈরি করা হয়। এতেই পানি আটকে যায়। ক্ষতিগ্রস্ত বিভিন্ন গ্রামের শত শত কৃষক একত্রিত হয়ে পুনরায় নদীর উপর উঁচু করে বিকল্প রাস্তা তৈরি করার দাবিতে মঙ্গলবার সকালে বিক্ষোভ করেছে কৃষকরা। সময় সুন্দরপুর গ্রামের কৃষক বিল্লাহ হোসেন বলেন, বিলের পানি নদীতে গেলেও নদীর পানি বইছে ধীরে ধীরে। বেগবতী নদীতে কোলা বাজারে ব্রিজ করার কারণে নদীতে বাঁধ দিয়েছে ঠিকাদাররা। যে কারণে নদী দিয়ে পানি নামছে না। আমরা ধান লাগিয়ে বিপাকে পড়েছি। পানিতে ধান তলিয়ে গেছে। জমিতে গলা সমান পানি। এই বিল ও বিল ঘেঁসা মাঠগুলোতে বোরো মৌসুমে অন্তত আড়াই থেকে তিন হাজার হেক্টর জমিতে ধান চাষ হয়। কিন্তু এবছর বিলে জমা বৃষ্টির পানি বেগবতী নদী দিয়ে বের হতে পারছে না। কালীগঞ্জ উপজেলার জামাল ইউনিয়নের কোলা বাজারে নির্মাণাধীন সেতুর ডাইভারসন বাঁধের কারণে নদীর স্রোত ও স্বাভাবিক পানির প্রবাহ বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে বিলের পানি কমছে না। ব্যাপারটি নিয়ে আমরা ইউএনও এবং উপজেলা নির্বাহী প্রকৌশলীর দ্বারস্থ হয়েছিলাম। গত ২৮ জুলাই সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিয়েছিলেন উপজেলা প্রশাসন কিন্তু কাজ কিছু হয়নি।

