১৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ  । ২রা ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ 

পৃথিবী সম্পর্কে বিস্ময়কর তথ্য

প্রতিদিনের ডেস্ক
প্রতি বছর বিশ্ব ধরিত্রী দিবস পালিত হয়। কিন্তু ধরিত্রী বা আমাদের এই পৃথিবী সম্পর্কে আমরা আসলে কতটুকু জানি? মানুষের কার্যকলাপ ক্রমাগত পরিবেশের ক্ষতি করছে। এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান শহরগুলোয় প্রায় দুই কোটি মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছিলেন ১৯৭০ সালে। সেই প্রতিবাদের কথা স্মরণে রেখেই বিশ্ব ধরিত্রী দিবস হিসেবে বেছে নিয়েছে জাতিসংঘ। খবর বিবিসি বাংলা। দেখে নেওয়া যাক আমাদের বাসভূমি এই পৃথিবীর সম্বন্ধে বিভিন্ন তথ্য:- মহাবিশ্বে শুধু পৃথিবীতেই প্রাণ আছে বলে এখন পর্যন্ত প্রমাণ করা গেছে। পৃথিবীর বুকে এখন পর্যন্ত প্রায় ১০ লাখ ২০ হাজার প্রজাতির প্রাণীর তথ্য নথিভুক্ত করা হয়েছে। তবে এই সংখ্যা মোট প্রাণীর প্রজাতির একটা ছোট অংশ। বিজ্ঞানীরা ২০১১ সালে একটা ধারণা করেছিলেন যে পৃথিবীর প্রকৃতিতে সম্ভবত ৮০ লাখ ৭০ হাজারের মতো প্রজাতি থাকতে পারে। প্রায় ৪৫০ কোটি বছর আগে পৃথিবীর জন্ম হয়েছিল এবং পৃথিবীর গঠন, তার ভূবৈজ্ঞানিক ইতিহাস এবং অক্ষের কারণে কয়েক লাখ, এমনকি কোটি বছর ধরেই এই গ্রহে প্রাণের সঞ্চার রয়েছে। যেহেতু পৃথিবী পুরোপুরি গোল নয় এবং এর ভর সব জায়গায় সমানভাবে বিস্তৃত নয়, তাই মাধ্যাকর্ষণ শক্তির তারতম্য ঘটে। যেমন, নিরক্ষরেখা থেকে যত মেরুর দিকে যাওয়া যাবে, মাধ্যাকর্ষণ শক্তি ধীরে ধীর বাড়তে থাকবে।, যদিও মানবদেহে সেই তারতম্য বিশেষ অনুভব করা যায় না। আমাদের এই গ্রহটিতে চরম বৈপরীত্য রয়েছে। ভৌগোলিক এলাকার তারতম্যে একেক এলাকার আবহাওয়াতেও রয়েছে ব্যাপক ফারাক। বলতে গেলে প্রতিটি এলাকারই নিজস্বতা আছে। পৃথিবীর উষ্ণতম স্থান বলে বেশ কয়েকটি জায়গার নাম উঠে আসে, কিন্তু এযাবতকালে সব থেকে বেশি তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল যুক্তরাষ্ট্রের ‘ডেথ ভ্যালি’তে। সেখানে ১৯১৩ সালের ১০ জুলাই থার্মোমিটারের পারদ ছুঁয়েছিল ৫৬.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আরেক চরম আবহাওয়া দক্ষিণ মেরুতে। সেখানকার ‘ভস্তক’ গবেষণা স্টেশনে ১৯৮৩ সালের ৩১ জুলাই তাপমাত্রা নেমে গিয়েছিল মাইনাস ৮৯.২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। অস্ট্রেলিয়ার উপকূলে অবস্থিত ‘দ্য গ্রেট ব্যারিয়ার রিফ’ই পৃথিবীর সবথেকে বড় জীবন্ত কাঠামো। যেটি বিকশিত হয় এমন অসংখ্য জীবসত্তার সমন্বয়ে গঠিত। এটি এতই বড় যে মহাকাশ থেকেও চোখে পড়ে। প্রায় দুই হাজার কিলোমিটার বিস্তৃত দ্য গ্রেট ব্যারিয়ার রিফে হাজার হাজার প্রজাতির সামুদ্রিক প্রাণী রয়েছে। ইউনেস্কো ১৯৮১ সালে এটিকে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইটের স্বীকৃতি দেয়। টেকটনিক প্লেট, অর্থাৎ ভূ-পৃষ্ঠের কঠিন আবরণের খণ্ডাংশ এখনও স্থির নয়। এর অর্থ হলো আমাদের এই গ্রহ এখনও পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। এই প্লেট বা খণ্ডাংশগুলো সরে যাওয়ার ফলেই পর্বতমালা যেমন তৈরি হয়, তেমনই ভূমিকম্প বা আগ্নেয়গিরি থেকে অগ্ন্যুৎপাতও হয়। টেকটনিক প্লেট কতদিন পরপর সরে যাবে, তা পৃথিবীর তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আবার সমুদ্রতলে স্থায়ী পরিবর্তনের মাধ্যমে কার্বন ডাই-অক্সাইডের মতো গ্রিনহাউস গ্যাসের পুনর্ব্যবহারেও সহায়তা করে টেকটনিক প্লেটের এই সরে যাওয়া। সূর্য থেকে সমানে ধেয়ে আসা অতি শক্তিশালী কণাসমূহকে আটকে দেয় পৃথিবীর চৌম্বক ক্ষেত্র। পৃথিবীর একেবারে কেন্দ্রস্থল থেকে শুরু হয়ে যেখান দিয়ে সৌর বাতাস বয় সেই সীমানা পর্যন্ত বিস্তৃত এই চৌম্বক ক্ষেত্র। আবার কিছু প্রাণী এই চৌম্বক ক্ষেত্রের সাহায্যেই পথ খুঁজে পায়। আমরা যখন কম্পাস ব্যবহার করি, তখনও এই চৌম্বক ক্ষেত্রই ব্যবহার করা হয়।

আরো দেখুন

Advertisment

জনপ্রিয়