আনিছুর রহমান, বেনাপোল
ভারতীয় উজানের পানিতে প্লাবিত শার্শা-বেনাপোল সীমান্তের শত শত কৃষক একর ফসলি জমির আমন ধান ও রাস্তাঘাাট। ভারী বৃষ্টি এবং ভারতের অভ্যান্তর থেকে আসা পানিতে এই পরিস্থীতির সৃষ্টি হয়েছে। বেনাপোলের বিশেষ করে দৌলতপুর এবং পুটখালী এলাকার রাস্তাঘাট ফসলি জমি জলমগ্ন থাকায় আমন ধান মাছের ঘের ও পুকুর ভেসে যাওয়ায় ব্যপক ক্ষতি হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল ১০ টায় দৌলতপুর ও পুটখালী এলাকায় সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় ভারতের উজানের পানি বাংলাদেশে প্রবেশ করছে। ভারত বাংলাদেশের মাঝে ইছামতি নদী প্লাবিত হয়ে পানি উপচে পড়ছে এদেশের ফসলি ধানক্ষেতে। সেই সাথে কিছু বাড়ির মধ্যে হাটু পানি এবং পাকা সড়কের উপর পানি এবং মাছের ঘের ভেসে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এই অঞ্চলের মানুষ পুকুরে ও জমি কেটে এবং বাওড়ে মাছের চাষ করে থাকে। হঠাৎ একটানা বৃষ্টি এবং ভারতীয় পাহাড়ি ঢলের পানি ইছামতি দিয়ে এসে এদেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে এসব জমির ধান প্লাবিত হয়ে নষ্ট হয়ে গেছে।স্থানীয় জামাল উদ্দিন জানায় প্রতিবছর বর্ষা মৌসুমে ভারতীয় উজানের পানি বাংলাদেশে ইছামতি নদী দিয়ে প্রবেশ করছে। এবার বৃষ্টিপাত বেশী হওয়ার কারনে কয়েকশত একর আমন ধানের জমি প্লাবিত হয়েছে। সেই সাথে মাছের ঘের পুকুর বাওড় ও আখের ক্ষেত ও বিনষ্ট হয়েছে। দৌলতপুর গ্রামের কুষক নেদা আলী জানায়, একটানা বৃষ্টি ও ভারতের পানি দেশে পবেশ করে আমাদের চরম ক্ষতি হয়েছে। এই মাঠে আমরা চাষাবাদ করে থাকি। আমন ধান রোপন করেছিলাম। মাঠে শত শত কৃষকের আমন ধান ছিল কয়েকশত একর জমিতে । সব পানিতে তলিয়ে ন্ষ্ট হয়ে গেছে। আমাদের এখন পথে বসা ছাড়া অন্য কোন উপায় নাই। পুটখালীর আমিন উদ্দিন জানায়, তার রাজগঞ্জে রয়েছে মাছের ঘের। এই ঘের পানিতে ভেসে সব মাছ বেরিয়ে গেছে। এখানে আমার মত আরোও অনেকের এমন দশা হয়েছে। কিছু করার নাই। প্রকৃতির কাছে আমরা হারতে বাধ্য হয়েছি। একাধারে বৃষ্টি অন্যদিকে ভারতের পানি গড়িয়ে আমাদের জমিতে আসা সব মিলিয়ে এসব ঘের যেমন ভেসেছে তেমনি আবাদি ফসলি জমির ব্যপক ক্ষতি হয়েছে। এছাড়া শার্শার কায়বা এলাকায়ও ইছামতি নদীর উজানের পানিতে ফসলি জমি প্লাবিত হয়েছে। এতে ওই ইউনিয়নের ঠেঙ্গামারী ও আওয়ালী বিল এলাকার ৫০০ একর ফসলি জমি প্লাবিত হয়েছে। ওই এলাকায় মধ্যে গোগা শান্তিপুর বাইকোলা গাজীর পাড়ের কায়বা পাচকায়বা ভবানীপুর ও রুদ্রপুর ভবানীপুর ও রুদ্রপুর কৃষকরা জানায় ভারী বর্ষনে এবং ভারতীয় উজানের পানি ইছামতি নদী উপচে পড়ে প্লাবিত হয়েছে এসব ফসলি মাঠ।

