১৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ  । ৩রা ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ 

বেনাপোলের পল্লীতে জামি জায়গা সংক্রান্ত জেরে ভাংচুর বৃদ্ধা আহত

নিজস্ব প্রতিবেদক
জমি জায়গা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে বাড়ি ভাংচুর এবং ফাতেমা বেগম (৬৫) নামে এক মহিলাকে মারপিট করে মাথা ফাটিয়ে দিয়েছে সন্ত্রাসীরা। গত শনিবার (১৬ আগষ্ট) সকাল ৯ টার সময় বেনাপোল পোর্ট থানার নারানপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। তবে প্রতিপক্ষের দাবি তারা তাদের ক্রয়কৃত জমি বুঝে নিতে যাওয়ার সময় বাধা প্রদান করার সময় ধাক্কা লাগতে পারে । তারা ইচ্ছাকৃত ভাবে কাউকে আঘাত করে নাই। বিষয়টি স্থানীয়রা মিমাংসা করার প্রতিশ্রুতিতে থানায় অভিযোগ হয়নি। নারানপুর গ্রামের আক্তার সরদার বলেন হাসেম আলী ও নয়নতারা দুই ভাই বোন। এদের দুইজনের ৩৩ শতাংশ জমি ছিল। হাসেম আলীর অংশ সাড়ে ১৬ শতক জমি তার দাদা প্রায় ২০ বছর আগে ক্রয় করে। এরপর নয়নতারার ৪ সন্তানের একজন ছেলের নিকট থেকে আক্কাস আলী বাকি সাড়ে ১৬ শতক জমির পরিবর্তে ১৮ শতক জমি লিখে নেয়। আইন অনুযায়ী চার ভাই জমি পাবে সাড়ে ১৬ শতক। অর্থাৎ এক ভাইয়ের ভাগে পড়ে ৪ শতক জমি। কিন্তু তারা আইন অমান্য করে বেশী জমি দলিল করে নিয়ে আমার জমির মধ্যে জমি দাবি করে আমার সীমানা ভেঙ্গে ফেলে। এসময় আমর মা বাধা দিলে তাকেও মারধর করে আহত করে। আমাকেও তারা মারধর করে। আক্কাস ও তার ছেলে রনির নেতৃত্বে লোকজন ভাড়া করে এনে তারা আমার সীমানার অংশ ভেঙ্গে দেয়। আমি এখন নিরাপত্তা হীনতায় ভুগছি। এলাকাবাসী জানান, যারা ভাড়াটিয়া হিসেবে এসে এই হামলা চালিয়েছে তারা এবং যাদের উপর হামলা করেছে এরা সবাই বিএনপির লোক বলে। বিষয়টি ধামা চাপা দিতে স্থানীয় জয়নাল গং ব্যাপকৈদৈাঁড়-ঝাঁপ দিচ্ছে। স্থানীয়রা দায়িত্ব নিয়ে মিমাংসা করার আশ্বাস দেয়ার পরও বিএনপির একটি পক্ষের ইন্ধনে এই হামলা ও ভাংচুর চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ। এ বিষয়ে মামলা করতে গেরে পুলিশ মামলা নেয়নি। একজন বিএনপি নেতা মামলা নিতে নিষেধ করেছে বরে এসআই রাশেদ বাদিপক্ষকে জানান। এ বিষয়ে বেনাপোল পোর্ট থানার ওসি রাসেল মিয়ার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, মারপিট করে মাথা ফাঁটিয়ে দেবার কথা তাকে বলেনি। তিনি বাদী পক্ষকে থানায় ডাকেন। সেখানে মামলা না নিয়ে দারোগা রাশেদ বাদী পক্ষের উপর হম্বিতম্বি করেন। সাংবাদিকদের কাছে বিষয়টি জানানোতে তিনি মাউণ্ড করেছেন বলে জানান। ওসির নির্দেশের পরও এ ঘটনায় থানায় কোন মামলা হয়নি। এ বিষয়ে আহত ফাতেমা বেগম বলেন, আমাদের বাড়ির প্রাচীর ভাঙ্গার সময় আমি তাদের বাঁধা দিলে আমাকে তারা মাথায় আঘাত করে। আমি চিকিৎসা নিয়ে এখন বাড়িতে আছি। এদিকে মিথ্যা দলিল গ্রহিতা ও হামলা ভাংচুরের হোতা আক্কাস আলী বলেন, আমি ১৮ শতক জমি ক্রয় করেছি। দীর্ঘদিন ধরে তাদের জমি বুঝিয়ে দিতে বললে তারা আমাদের জমি বুজিয়ে না দিয়ে আমাদের দেড় শতক জমি দখল করে আক্তার হোসেন প্রাচীর দেয়। এরপর শনিবার আমরা আমিন এনে আমাদের জমি মেপে বুঝ করে নিয়ে সিমানা পিলার ভেঙে দিয়েছ। এ বিষয়ে বাদীসহ এলাকাবাসী জানান, সন্ত্রাসী রনি এবং তার পিতা আক্কাস মিথ্যা দলিল করে এবং সন্ত্রাসী ভাড়া করে এনে প্রাচীর ভেঙে এবং মারপিট করে অন্যের জমি দখল করেছে। আইনত আক্কাস এখানে ৪ শতক জমি পাবেন। কিন্তু দখল করছেন ১৮ শতক জমি।

আরো দেখুন

Advertisment

জনপ্রিয়