উৎপল মণ্ডল, শ্যামনগর
শ্যামনগরের খোলপেটুয়া নদীর তীরবর্তী এলাকায় ভাঙন আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। গত শনিবার বিকেলে বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়নের উত্তর ভামিয়া জোমাদ্দার পাড়া সংলগ্ন এলাকার একটি অংশে প্রায় ৪০০ ফুট চর দেবে গেছে। এতে স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, ঘটনার ৩ থেকে ৪ দিন অতিবাহিত হলেও খোলপেটুয়া নদীর ওই এলাকার দীর্ঘদিনের ভাঙন রোধে পাউবো কর্তৃপক্ষ দৃশ্যমান কার্যকর কোন উদ্যোগ নিচ্ছে না। একের পর এক চর দেবে গেলেও শুধুমাত্র পরিদর্শনে সীমাবদ্ধ রয়েছে পাউবোর কার্যক্রম। দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে যে কোনো সময় উপকূল রক্ষা বাঁধ ও পার্শ্ববর্তী গ্রামগুলো নদীতে তলিয়ে যাবে। স্থানীয় আবুল হোসেন, অহিদ জোমাদ্দার ও সেলিম হোসেনসহ কয়েকজন জানান, গত শনিবার থেকে নদীর চরে ভাঙন দেখা দেয়। যত সময় যাচ্ছে আস্তে আস্তে ভাঙন ওয়াপদার দিকে চলে আসছে। ভাঙন স্থানে ৭০ থেকে ৮০ ফুট গভীর হয়েছে দাবি করে তারা জানান দ্রুত এই ভাঙন রোধ করা না গেলে ভয়াবহ ক্ষতির সম্মুখীন হবেন তারা। তারা অভিযোগ করে বলেন, ঘটনার ৩ থেকে ৪ দিন অতিবাহিত হলেও খোলপেটুয়া নদীর ওই এলাকার দীর্ঘদিনের ভাঙন রোধে পাউবো কর্তৃপক্ষ দৃশ্যমান কার্যকর কোন উদ্যোগ নিচ্ছে না। একের পর এক চর দেবে গেলেও শুধুমাত্র পরিদর্শনে সীমাবদ্ধ রয়েছে পাউবোর কার্যক্রম। দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে যে কোনো সময় উপকূল রক্ষা বাঁধ ও পার্শ্ববর্তী গ্রামগুলো নদীতে তলিয়ে যাবে। এবিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশল মোঃ ফরিদুল ইসলাম বলেন, ইতিমধ্যে ভাঙনকবলিত এলাকা পরিদর্শনসহ বর্তমান বেড়িবাঁধের অবস্থার বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। ভাঙনকবলিত স্থানের জরিপও শেষ হয়েছে। আশা করছি অতি দ্রুতই সেখানে কাজ শুরু হবে।

