প্রতিদিনের ডেস্ক
হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. মারুফ রায়হান খান জানিয়েছেন, গ্রাম-গঞ্জে এখনো হাইপারটেনশন বা উচ্চরক্তচাপের চিকিৎসায় অ্যাটেনোলল (টেনোলক/টেনোরেন) জাতীয় পুরোনো বিটা ব্লকার অহরহ ব্যবহার করা হচ্ছে, যা স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ায়।বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) ফেসবুকে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে তিনি এ অভিমত প্রকাশ করেন।ডা. মারুফ বলেন, ‘অ্যাটেনোলল শুধু পেরিফেরাল প্রেসার কমাতে পারে, কিন্তু সেন্ট্রাল এওর্টিক প্রেসার কমাতে পারে না। এজন্যই এ ওষুধ দীর্ঘমেয়াদে স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ায়। তবে নতুন যুগের বিটা ব্লকারে এ সমস্যা নেই।’ডা. মারুফ আরও জানান, যেসব রোগীর স্ট্রোক হয়েছে বা ট্রানজিয়েন্ট ইসকেমিক আক্রমণের (টিআইএ) ইতিহাস রয়েছে, তাদের জন্য সেন্ট্রাল এওর্টিক প্রেসার কমাতে সক্ষম ওষুধ ব্যবহার করা উত্তম। এক্ষেত্রে থায়াজাইড ডাইইউরেটিক্স, এসি ই-ইনহিবিটর, এনজিওটেনসিন রিসেপ্টর ব্লকার (এআরবি) এবং ক্যালসিয়াম চ্যানেল ব্লকার সবচেয়ে কার্যকর।তিনি বলেন, বাজারে সহজলভ্য ডাইইউরেটিক্স ও এনজিওটেনসিন রিসেপ্টর ব্লকারের কম্বিনেশন একটি ভালো সমাধান হতে পারে। এর মধ্যে হাইড্রোক্লোরোথায়াজাইড এবং লোসারটান/ভালসারটান কম্বিনেশন বেশি ব্যবহৃত হয়।
যদি রোগীর একই সঙ্গে হৃদরোগও থাকে, তখন বিটা ব্লকার দিতে হয়। সে ক্ষেত্রে বিটা ব্লকারের সঙ্গে থায়াজাইডের কম্বিনেশন যুক্ত করলে ভালো ফল পাওয়া যায় বলে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ।

