আব্দুল আলিম, সাতক্ষীরা
সাতক্ষীরা-৩ ও সাতক্ষীরা-৪ আসন নিয়ে ইসির প্রস্তাবিত খসড়া নিয়ে আন্দোলন সংগ্রামের পর এবার চূড়ান্ত গেজেট ঘোষণা পর দেখা দিয়েছে নতুন সমীকরণ। যেখানে বদলে গেছে সাতক্ষীরা-২ ও সাতক্ষীরা-৩ আসনের সীমানা। চূড়ান্ত গেজেট অনুযায়ী, সাতক্ষীরার তালা-কলারোয়া নিয়ে সাতক্ষীরা-১ আসন, সাতক্ষীরা সদরের সাথে দেবহাটাকে যুক্ত করে সাতক্ষীরা-২ আসন, কালিগঞ্জের সাথে আশাশুনিকে যুক্ত করে সাতক্ষীরা-৩ আসন ও শ্যামনগর উপজেলা নিয়ে সাতক্ষীরা-৪ আসনের সীমানা চূড়ান্ত করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দেশের ৩০০ সংসদীয় আসনের পুনর্র্নিধারিত সীমানার তালিকা প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন। এই তালিকা থেকে উপরোক্ত তথ্য পাওয়া গেছে। ইসি সচিব আখতার আহমেদের স্বাক্ষর করা বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, নির্বাচন কমিশন দাবি বা আপত্তি বা সুপারিশ বা মতামত সংবলিত দরখাস্তের তথ্যাদি পর্যালোচনা করে এবং শুনানিকালে উপস্থাপিত তথ্য ও যুক্তিতর্ক বিবেচনায় নিয়ে প্রাথমিক তালিকায় প্রকাশিত নির্বাচনী এলাকার প্রয়োজনীয় সংশোধন করে জাতীয় সংসদের ৩ শ’ আসনের পুনঃ নির্ধারিত সীমানার চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করলো। এদিকে, ইসির চূড়ান্ত গেজেট ঘোষণার পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় আশাশুনি উপজেলা জামায়াতের নায়েবে আমির নুরুল আবসার মোর্তজা আলী জানান, আশাশুনির সঙ্গে কালীগঞ্জ উপজেলাকে সংযুক্ত করায় মন্দের ভালো হয়েছে। তবে আশাশুনির সঙ্গে দেবহাটা উপজেলাকে দিলে আরো ভালো হতো। এ বিষয়ে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য সাতক্ষীরা -৩ আসন থেকে বিএনপি’র মনোনয়ন প্রত্যাশী ডা: শহিদুল আলম বলেন, ইসে পূর্বের প্রস্তাবিত খসড়ার চেয়ে এবারের আসন বিন্যাসটা অনেকটা ভালো হয়েছে। আমি দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় কাজ করছি। দল চাইলে আমি মানুষের খেদমতে কাজ করে যাওয়ার চেষ্টা করব ইনশাল্লাহ।

