নিজস্ব প্রতিবেদক
যশোর ছাত্রদলের সহ-সাধারণ সম্পাদক রেজাউল ইসলাম রনি ও তার ছোট ভাই মনিরুল ইসলাম রানাকে অস্ত্র ও লাঠিসোটা নিয়ে ধাওয়া করেছে সন্ত্রাসীরা। এ ঘটনায় রনি নিজেই বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় ১০ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন। রনি খোলাডাঙ্গা ধর্মতলা মোড় এলাকার মঞ্জুরুল আলমের ছেলে। অভিযোগে নাম উল্লেখিত আসামিরা হলেন: খোলাডাঙ্গা গাজীপাড়ার মৃত সলেমান গাজীর ছেলে শাকিল, মানিক, জাফরের ছেলে আন্তর, মিঠু মোল্লার ছেলে বিপ্লব মোল্লা, একই এলাকার অনিক, সম্রাট, মৃত গণি গাজীর ছেলে লিটন, টিটো, মৃত জামরুজ্জামান ওরফে কাম গাজীর ছেলে শক্তি গাজী এবং একই এলাকার রেখা। এছাড়া মামলায় অজ্ঞাতনামা আরও ৫-৬ জনকে আসামি করা হয়েছে। ভুক্তভোগী রেজাউল ইসলাম রনি জানান, ২০১৩ সালে জেলা ছাত্রদলের নির্বাহী সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে আসামিদের সঙ্গে আমার পূর্ব শত্রুতা শুরু হয়। ওই সময় কয়েকজন আমাকে মারধর করে আহত করেছিল। সেই দ্বন্দ্ব আজও রয়ে গেছে। স্থানীয় এক প্রত্যক্ষদর্শী (ছদ্ম নাম রুবেল) বলেন, বোমা, দা আর লাঠিসোটা নিয়ে তারা দুই ভাইকে ধাওয়া করছিল। আমরা সবাই চুপচাপ পাশে দাঁড়িয়ে ছিলাম। কেউ সাহায্য করতে পারিনি। তারা দৌড়ে মোড়ের অন্য দিকে পালিয়ে যায়। অন্য এক স্থানীয় (ছদ্ম নাম লিটন আলী) বলেন, রনি ও তার ভাই যে মুহূর্তে সেখানে পৌঁছায়, তখন চারপাশে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। হামলাকারীরা এতটা সাহসী যে, নিরস্ত্র পথচারীরাও ভয় পেয়েছে। মামলার বিবরণ অনুযায়ী, গত ১৯ সেপ্টেম্বর দুপুর আড়াইটার দিকে ধর্মতলা মোড়ে রনি, তার ভাই এবং রানার এক বন্ধু তখন গেলে আসামিরা তাদের লক্ষ্য করে হামলা চালায়। ভুক্তভোগী পরিবার জানিয়েছে, এ ঘটনার পর আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। প্রশাসনের তৎপরতা না থাকলে আরও বড় বিপদ ঘটতে পারত। কোতোয়ালি থানার ওসি জানান, অভিযোগ গ্রহণ করা হয়েছে। তদন্ত চলছে এবং সন্ত্রাসীদের শনাক্তের চেষ্টা করা হচ্ছে।

