১৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ  । ৩রা ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ 

গুলশান এলাকার ভোটার হলেন প্রধান উপদেষ্টা

প্রতিদিনের ডেস্ক:
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবার গুলশান এলাকায় ভোট দিতে পারবেন। জাতীয় পরিচয়পত্রে (এনআইডি) বর্তমান ঠিকানা মিরপুর থেকে পরিবর্তন করে গুলশাল বাসভবনের ঠিকানায় ‘ভোটার এলাকা স্থানান্তর’ করেছেন তিনি।রোববার (১২ অক্টোবর) ইসি সচিবালয়ের কর্মকর্তারা বিষয়টি নিশ্চিত করেন। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে ভোটার এলাকা স্থানান্তর হলেও আট মাসের মাথায় তা গণমাধ্যমে প্রকাশ পেলো।গুলশান থানা নির্বাচন কর্মকর্তা প্রতিভা বিশ্বাস জাগো নিউজকে বলেন, ‘স্যার (প্রধান উপদেষ্টা) মিরপুর থেকে গুলশান এলাকার ভোটার হয়েছেন। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ১৯ নম্বর ওয়ার্ডে গুলশান-২ এর ভোটার হয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা। আসন্ন নির্বাচনে গুলশান থেকে ভোট দেবেন।’আগামী রোজার আগে ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ হতে পারে। নির্বাচন সামনে রেখে চলতি বছরের ২০ জানুয়ারি বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার তালিকা হালনাগাদ শুরু হয়। এসময় নতুন ভোটার যুক্ত হওয়ার পাশাপাশি মৃতদের কর্তন ও স্থানান্তরের আবেদনও নেওয়া হয়।বর্তমানে ১২ কোটি ৬৩ লাখেরও বেশি ভোটার রয়েছে। গত ফেব্রুয়ারিতে গুলশানা উপজেলা/ থানা অফিসারের কাছে এক ভোটার এলাকা থেকে অন্য ভোটার এলাকা স্থানান্তরের আবেদন করেন প্রধান উপদেষ্টা। ১৭ ফেব্রুয়ারি ইসির এনআইডি উইং মহাপরিচালক তা অনুমোদন করেন এবং পরদিনই তা সংশোধন করে তথ্য হালনাগাদ করা হয়।ড. মুহাম্মদ ইউনূস মিরপুরে গ্রামীণ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের ঠিকানায় ভোটার হয়েছিলেন। আগের ভোটার এলাকা পরিবর্তন করে এবার গুলশান-২ এর বাসভবনর ঠিকানায় গেলেন তিনি। নতুন ভোটার এলাকা ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ১৯ নং ওয়ার্ডের আওতাধীন।আজ রোববার জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা জানান, অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস এখন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের ভোটার। ভোটার এলাকা পরিবর্তনের আবেদন করলে ইসির এনআইডি উইং তা অনুমোদনের পর ভোটার তালিকার আগের ঠিকানা থেকে স্থানান্তরিত নতুন আবেদনের ঠিকানায় যুক্ত করা হয় ভোটারের নাম। স্থানান্তরিত নতুন ঠিকানায় ভোট দিতে পারবেন তিনি।ইসির জনসংযোগ পরিচালক রুহুল আমিন মল্লিক বলেন, ভোটার স্থানান্তর একটি চলমান প্রক্রিয়া। এজন্য বিধির নির্ধারিত ১৩ নম্বর ফরম স্বহস্তে পূরণ করে প্রয়োজনীয় দলিলাদিসহ নির্বাচন অফিসে জমা দিতে হয়। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আবেদন যাচাই করে এনআইডি উইংয়ের অনুমোদন পেলে ভোটার এলাকা পরিবর্তন করে এআইডি সংশোধন করে ইসি।ভোটার হওয়ার সময় নাগরিকদের বর্তমান ঠিকানায় ভোটার তালিকাভুক্ত করা হয়। ভোটের সময় এ ঠিকানায় ভোট দিতে পারেন তিনি।

আরো দেখুন

Advertisment

জনপ্রিয়