প্রতিদিনের ডেস্ক
লম্বা সময় ধরেই বৈশ্বিক ক্রীড়াঙ্গনে বার্ষিক আয়ের শীর্ষে অবস্থান করছেন পর্তুগিজ সুপারস্টার ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। এবারও যথারীতি সেটি ধরে রেখেছেন আল-নাসরের এই তারকা ফরোয়ার্ড। ফুটবলারদের মধ্যে আয়ের দিক থেকে তার পরই অবস্থান আরেক মহাতারকা লিওনেল মেসির। এ ছাড়া ১৮ বছর বয়সেই বড় তারকা বনে যাওয়া লামিনে ইয়ামালও শীর্ষ দশে ঢুকে পড়েছেন। বাণিজ্য বিষয়ক বিশ্বখ্যাত মার্কিন সাময়িকী ফোর্বস এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে। তথ্যমতে, এক বছরে রোনালদোর আয় ২৮০ মিলিয়ন ডলার বা ৩৩৯৬ কোটি টাকা। ৪০ বছর বয়সী এই পর্তুগিজ ফরোয়ার্ডের নতুন করে এবার দুই বছরের চুক্তির মেয়াদ বাড়িয়েছে সৌদি ক্লাব আল নাসর। যা তার বার্ষিক আয় বৃদ্ধির পেছনেও ভূমিকা রেখেছে। কেবল তাই নয়, গত মে মাসে প্রকাশিত সবচেয়ে বেশি আয় করা অ্যাথলেটদের তালিকায় তৃতীয়বারের মতো শীর্ষে জায়গা করে নেন সিআরসেভেন। ওই সময়েই জানা যায়, বিশ্বের প্রথম ফুটবলার হিসেবে বিলিয়নিয়ার হওয়ার রেকর্ড গড়েছেন রোনালদো। বয়সটা ছুটে চললেও তিনি মাঠের পারফরম্যান্সে তার কোনো ছাপ পড়তে দেননি। তার লক্ষ্যস্থল ১০০০ গোল হতেও আর মাত্র ৫২ গোল বাকি। সম্প্রতি পর্তুগালের হয়ে বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচে জোড়া গোল করার পর পেশাদার ক্যারিয়ারে রোনালদোর গোলসংখ্যা ৯৪৮। বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ৫১ ম্যাচে রোনালদোর গোল ৪১টি, যা সর্বোচ্চ। এদিকে, ২০২৬ বিশ্বকাপকে সামনে রেখে এগোতে থাকা মেসিও আর্জেন্টিনা ও ইন্টার মায়ামির জার্সিতে মাঠে নেমে তার ফুটবলমুগ্ধতায় বুঁদ করে রাখতে ভুল করেন না। যথারীতি ফুটবলারদের মধ্যে আয়ের দিক থেকে তিনি দ্বিতীয় স্থানে আছে। ৩৮ বছর বয়সী এই তারকা ফরোয়ার্ডের বার্ষিক আয় ১৩০ মিলিয়ন ডলার বা ১৫৭৬ কোটি টাকারও বেশি। রোনালদোর মতোই তিনিও বিশ্ব ফুটবলের অন্যতম প্রধান দূত। ফলে বিভিন্ন নামি-দামি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে তার সংযোগ আছে। অ্যাডিডাস, লেইস, মাস্টারকার্ড ছাড়া গত বছর নতুন করে তিনি ‘স্পোর্ট ড্রিংক’ বাজারে এনেছেন। ইউরোপ ছেড়ে অনেকটাই আলোর বাইরে চলে যাওয়া সাবেক ফরাসি ও রিয়াল মাদ্রিদ তারকা করিম বেনজেমা ফোর্বসের এই তালিকায় আছেন তিন নম্বরে। এ ছাড়া যথাক্রমে আছেন রিয়াল মাদ্রিদের আরেক ফরাসি তারকা কিলিয়ান এমবাপে, ম্যানচেস্টার সিটির নরওয়েজীয় ফরোয়ার্ড আর্লিং হালান্ড, রিয়ালের ব্রাজিলিয়ান তারকা ভিনিসিয়ুস জুনিয়র, লিভারপুলের মিশরীয় ফরোয়ার্ড মোহামেদ সালাহ, আল নাসরের সেনেগালিজ সুপারস্টার সাদিও মানে, রিয়ালের ইংলিশ মিডফিল্ডার জুড বেলিংহাম ও বার্সেলোনার স্প্যানিশ বিস্ময়বালক লামিনে ইয়ামাল। এই তালিকায় চমকের নাম ইয়ামাল। ১৮ বছর বয়সী এই ফরোয়ার্ড ২০২৪-২৫ মৌসুমে বার্সেলোনার ঘরোয়া সব ট্রফি জয়ে ভূমিকা রেখেছেন। করেছেন ১৮ গোল ও ২৫ অ্যাসিস্ট। এর আগে স্পেনের হয়ে জিতেছেন ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ। বিশ্ব ফুটবলের তরুণ এই প্রতিভাও ব্যক্তিগত পারফরম্যান্সের গুণে বাণিজ্যিক বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তিতে আছেন। এ ছাড়া বার্সার সঙ্গে তার চুক্তির মেয়াদ বেড়েছে ২০৩১ সাল পর্যন্ত। বেড়েছে পারিশ্রমিকও। বছরে ইয়ামালের আয় ৪৩ মিলিয়ন ডলার বা ৫২১ কোটি ৪৩ লাখ টাকা।

