প্রতিদিনের ডেস্ক
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সদ্যসমাপ্ত সিরিজে যেন নিজের নতুন সংস্করণ নিয়ে হাজির হয়েছেন রিশাদ হোসেন। ব্যাট হাতে ঝড় তোলা, বল হাতে বিধ্বংসী বোলিং আর ফিল্ডিংয়ে তৎপরতা-সব মিলিয়ে তিনিই ছিলেন বাংলাদেশের সবচেয়ে আলোচিত মুখ। সিরিজের শেষ দিনটায় সেই আলো ছুঁয়ে গেল রেকর্ডবুকেও। তিন ম্যাচে ১২ উইকেট তুলে নিয়ে ভেঙে দিলেন ১১ বছরের পুরোনো এক রেকর্ড। বনে গেলেন এক সিরিজে বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ উইকেটধারী স্পিনার।
প্রথম ম্যাচেই রিশাদ জানান দিয়েছিলেন, তিনি আলাদা কিছু করতে এসেছেন। দলের ইনিংস যখন ধুঁকছে, তখন ১৩ বলে ২৬ রানের ক্যামিও খেলে বাংলাদেশকে পৌঁছে দেন ২০০ পেরোনো রানে। এরপর বল হাতে একাই ধসিয়ে দেন উইন্ডিজ ব্যাটিং লাইনআপ, নেন ৬ উইকেট। যা তার ক্যারিয়ারসেরা পারফরম্যান্স এবং বাংলাদেশের তৃতীয় সেরা বোলিং ফিগার। দ্বিতীয় ম্যাচেও তার ঝলক কমেনি। এবার ব্যাট হাতে ঝড় তুললেন, ১৪ বলে ৩৯ রান! যদিও ম্যাচের ফল বাংলাদেশ পক্ষে যায়নি, তবুও রিশাদের অলরাউন্ড উপস্থিতি দলের লড়াইয়ে ছিল মূল প্রেরণা। সেই ম্যাচেও বল হাতে নেন ৩ উইকেট। শেষ ম্যাচে ব্যাট হাতে বড় কিছু না করলেও, বল হাতে ছিলেন যথারীতি ধারালো। তুলে নেন আরও ৩ উইকেট। আর তাতেই ইতিহাস! ২০১৪ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে আরাফাত সানি ৫ ম্যাচে নিয়েছিলেন ১০ উইকেট। সেই রেকর্ড এবার মাত্র ৩ ম্যাচেই ছাড়িয়ে গেলেন রিশাদ। বাংলাদেশের তরুণ লেগ স্পিনারদের মধ্যে যে সম্ভাবনা ছিল, এই সিরিজে রিশাদ সেটির সেরা প্রমাণ দিয়েছেন। তিন ম্যাচে ১২ উইকেট, বিধ্বংসী বোলিং আর ব্যাটিংয়ে সাহসী ভূমিকায় তিনি এখন বাংলাদেশের নতুন ক্রিকেট সেনসেশন।

