প্রতিদিনের ডেস্ক
প্রথম দুই ম্যাচ হেরে আগেই সিরিজ খুইয়েছিল ভারত। তাই শেষ ম্যাচটি ছিল তাদের জন্য মান বাঁচানোর লড়াই। সেখানে রোহিত শর্মা এবং বিরাট কোহলির ১৬৮ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে সহজ জয় পেল ভারত। সিডনিতে ৯ উইকেটে জিতেছে শুবমান গিলের দল, যা অধিনায়ক হিসেবে তার প্রথম জয়। প্রথম দুই ম্যাচে শূন্য রানে আউট হয়েছিলেন কোহলি। তাই সিডনিতে প্রথম রান করেই উচ্ছ্বাস করেন তিনি। এরপর জুটি বাঁধলেন দীর্ঘ দিনের সঙ্গী রোহিতের সঙ্গে। দ্বিতীয় ম্যাচে রান পাওয়া রোহিত এদিন খেললেন ঝুঁকিহীন ইনিংস। অনেক দিন পর রোহিত-কোহলি জুটির দাপট দেখলেন ক্রিকেটপ্রেমীরা। ইনিংস ওপেন করতে নেমে এ দিনও ভালো শুরু পেয়েও ইনিংস বড় করতে পারেননি অধিনায়ক গিল। তবে তার ২৬ বলে ২৪ রানের মধ্যে বড় ইনিংসের সম্ভাবনা ছিল। গিল আউট হওয়ার পর দায়িত্ব নেন দুই সাবেক অধিনায়ক। কোহলি ব্যক্তিগত ৩৬ রানের সময় একবার নাথান এলিসের বলে লেগ বিফোরের আবেদন থেকে বেঁচে যান। মাঠের আম্পায়ার আউট দেননি। ডিআরএসে দেখা যায় হিটিং আম্পায়ার্স কল ছিল। ভবিষ্যতের দল গঠনের পরিকল্পনা শুরু করে দেওয়া গৌতম গম্ভীর এই জয়ে স্বস্তি পেয়েছেন নিশ্চয়ই। ১০৫ বলে ওয়ানডেতে নিজের ৩৩তম শতরান করেন রোহিত। শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থেকেছেন ১২৫ বলে ১২১ রানের ইনিংস খেলে। তার ব্যাট থেকে এসেছে ১৩টি চার এবং ৩টি ছয়। অন্য প্রান্তে কোহলি অপরাজিত থেকেছেন ৮১ বলে ৭৪ রান করে। দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন তারা। এর আগে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক মিচেল মার্শ। এ দিন পুরো ৫০ ওভার ব্যাট করতে পারেনি তারা। ৪৬.৪ ওভারেই শেষ হয়ে যায় তাদের ইনিংস। শুরুটা খারাপ করেননি ট্রাভিস হেড এবং মার্শ। হেড করেন ২৫ বলে ২৯। মার্শের ব্যাট থেকে এসেছে ৫০ বলে ৪১ রান। তিন নম্বরে নেমে ম্যাথু শর্ট করেন ৪১ বলে ৩০। অস্ট্রেলিয়ার ইনিংসকে টানেন মূলত চার নম্বরে নামা ম্যাট রেন শ। মাঝের ওভারগুলোতে বড় শট না খেলেও রানের চাকা সচল রাখেন। তার ৫৮ বলে ৫৬ রানের নিয়ন্ত্রিত ইনিংসে ছিল ২টি চার। অ্যালেক্স ক্যারিকেও (৩৭ বলে ২৪) রান করতে পরিশ্রম করতে হয়েছে। শেষদিকে আর কেউই সুবিধা করতে পারেননি। তাতে বড় রান পায়নি অস্ট্রেলিয়া।

